যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে কেরানীগঞ্জ থেকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ (২০ জানুয়ারি) বিকেল ৩ টা ৫০ মিনিটের দিকে তাঁকে যশোর কারাগারে হস্তান্তর করা হয়।
এরআগে যশোর আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতাকে ৩ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও প্রাণনাশের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছিল পুলিশ। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই থেকে তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দি ছিলেন।
যশোর পুলিশের দাবি-তিনি প্রভাবশালী দলের জেলা সভাপতি থাকায় ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে সাহস পাননি। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, হত্যা, জমি দখল, লুটপাটসহ আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের কঠোর আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের বহু নেতাকর্মী আত্মগোপনে যান।
সরকারের একটি গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়-সেই থেকে শহিদুল ইসলাম মিলন কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে যশোরে বেশকিছু মামলা রয়েছে। এসব মামলা নিস্পত্তির জন্য আজ ২১ জানুয়ারি তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ কারাগারে তার হাজতি নং-৩৪৫৩৭/২৫।
উল্লেখ্য, ঢাকায় গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় ৪ মাস তাঁকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দি রাখা হয়। অবশেষে তাকে পাঠানো হলো নিজ জেলা যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
No comments:
Post a Comment