বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলামকে কুবিতে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Friday, December 6, 2024

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলামকে কুবিতে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা


 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের একজন তরিকুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একদল শিক্ষার্থী। শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, তরিকুল ইসলাম আওয়ামী আমলের একজন কাউন্সিলরের থেকে অর্থ নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে খিচুড়ির আয়োজন করেছেন। এই আয়োজন কুবির জন্য লজ্জাজনক, অপমানের। এই আয়োজনে আওয়ামী আমলের কাউন্সিলরের সহায়তা নিয়ে তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের অপমানিত করেছেন।' এ সময় তারা খিচুড়ি ভোজ আয়োজনের অর্থায়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো: হান্নান রহিম বলেন, 'যেখানে আন্দোলনের সময় আহত হওয়া অনেকেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে, সেখানে ওরা এখন এত টাকা খরচ করে খিচুড়ি ভোজ করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত ভোজ ছাড়া আর কি দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়েছে? দেশে ইন্ডিয়ান প্রোপাগান্ডা সমানে চলমান। আজকে দাউদকান্দিতে আমাদের একজন সহযোদ্ধা নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব কিছু বাদ দিয়ে তারা এখন খিচুড়ি ভোজের আয়োজন করছে। এই খিচুড়ি আয়োজনে নাকি কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম অর্থায়ন করেছে। তিনি আসলে কোন মোটিভ নিয়ে এই অর্থায়ন করলো। সুতরাং আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দিতে চায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা সমন্বয়ক তরিকুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো প্রবেশ করতে পারবে না।'

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, 'উনারা কেন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সেটা আমি আসলে জানি না। আমি আসলে আগে জানবো অবাঞ্ছিত করার কারণটা কি তারপর আমরা এ বিষয়ে কথা বলব।'

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে 'ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও খিচুড়ি ভোজ' আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে দুপুরে ০৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২ টা থেকে রোববার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও অনুষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি। পরবর্তীতে বিকাল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের সাথে আলোচনা করে শুধু খাওয়াদাওয়ার অনুমতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। 

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad