যশোরে ইমু হত্যা মামলায় চার্জশিট, অভিযুক্ত ৯ - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Thursday, December 5, 2024

যশোরে ইমু হত্যা মামলায় চার্জশিট, অভিযুক্ত ৯


 

যশোরে সৈয়দ এহসানুল হক ইমু হত্যা মামলায় ৯জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। মামলার তদন্ত শেষে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়ার আব্দুল হান্নানে ছেলে আল শাহরিয়ার, বিবি রোডের ফারুক হোসেন ছিরুর ছেলে বিপ্লব হোসেন ও ফারদিন হাসান দূর্জয়, আমবাগান এলাকার হাশেম সরদারের ছেলে শাহিন সরদার, বাবুর ছেলে আসিফ হাসান, শেখ শওকত আলীল ছেলে ইয়াসিন আরাফাত, শাহাদত হোসেন সবুজের ছেলে আসাদুজ্জামান সুইট, পুরাতনকসবার সফি সরদারের ছেলে সোহাগ রহমান ও শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মাসুদ পারভেজ।

জানা গেছে ২০২০ সালের ২১ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপশহর শিশু হাসপাতালের বিপরীতে রয়েল টি-স্টলে বসে চা পান করছিল শাকিল, শাখাওয়াত ও তানভীর নামে তিন যুবক। সে সময় আসামি দুর্জয় ও মাসুদ একটি মোটরসাইকেলে করে সেখানে যায়। মাদক বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে আগে থেকে শাকিলের সাথে দুর্জয়ের শত্রুতা ছিল। দুর্জয় সেখানে গিয়ে শাকিলকে মারধর করতে থাকে। শাকিলের মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয় দুর্জয়। সেখানে দাড়িয়ে ছিলেন উপশহর বি ব্লক মসজিদের পাশের সৈয়দ ইকবাল হোসেনের ছেলে সৈয়দ এহসানুল হক ইমু। তিনি দুইজনকে থামানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে দুর্জয়কে কয়েকটি থাপ্পড় মেরে নিবৃত করে চেষ্টা করেন ইমু। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্জয় পুরাতনকসবা এলাকার বাহিনীকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে বাবু ও সোহাগ অপর আসামিরা ঘটনাস্থলে আসে। সেখানে ইমুকে পেয়ে সকলে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে চলে যায়। পরে একজন রিকসা চালক ইমুকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে নয়টার দিকে ইমু মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পিবিআই।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad