এখনও শৃঙ্খলা ফিরছে না শিক্ষা খাতে। বেশিরভাগ দিনই হচ্ছে আন্দোলন। এদিকে একাডেমিক ক্ষতি পোষাতে এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই। শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, বেশ কয়েকটি খাতে কমিশন করা হলেও মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য গঠিত হয়নি কমিশন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ১৮ আগস্ট স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিসেম্বরে হবে বার্ষিক পরীক্ষা। এরই মধ্যে কমানো হয়েছে সিলেবাস।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ১০০ নম্বরের পরীক্ষার ৩০ নম্বরই এখন ক্লাস পরীক্ষায়। বাকি নম্বরের হবে পরীক্ষা। সিলেবাসও কমানো হয়েছে।
চলতি বছর তীব্র তাপদাহ, আন্দোলনের কারণে লম্বা সময় বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখনও অনেক স্কুল-কলেজ স্বাভাবিক হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যে একাডেমিক ক্ষতি হয়েছে সেটি পূরণের জন্যও নেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি কমিশন গঠন করে তাহলে একটা সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট রূপরেখা পাওয়া যাবে।’
এদিকে নানা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামছেই না। বিশেষ করে শিক্ষা দপ্তরগুলোর সামনে বেশিরভাগ দিনই থাকছে কর্মসূচি। গবেষকেরা বলছেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কমিশন গঠন করার প্রয়োজন।
শিক্ষা গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষাখাতকে আমরা প্রায়োরিটির জায়গায় নিচ্ছি না বলেই কিন্তু এই অবহেলা। এই অবহেলার কারণেই শিক্ষার্থীরা দিক নির্দেশনার অভাবে ভুগছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাখাতের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে একটা স্থায়ী কমিশন গঠন করতে হবে।’
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।
এদিকে এখন পর্যন্ত আগামী বছরের বইয়ের পান্ডুলিপিও চূড়ান্ত হয়নি।
No comments:
Post a Comment