যশোর কোতয়ালি পুলিশ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযানে গ্রেফতারকৃদের প্রায় অধিকাংশই আ’লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার গভীর রাতে (১ অক্টোবর) এদের আটক করা হয়। বিএনপি অফিস ভাংচুর, লুটপাট, বোমা বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করার পর বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার আনিচুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির (৫৫), ছোট গোপালপুর গ্রামের মোঃ মজিদের ছেলে জাকির হোসেন (৪২), উপশহর ১নং সেক্টরের বাসিন্দা আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ শাহিন (৩৫), পূর্ব বারান্দী বিশ্বাসপাড়ার মৃত আশরাফ আলী বিশ্বাসের ছেলে রবিউল বিশ্বাস (৫৫), ভাতুড়িয়া বাজার এলাকার মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আতিয়ার রহমান (৫৬), সদরের করিচিয়া গ্রামের মৃত শাহাদত বিশ্বাসের ছেলে ফিরোজ হোসেন (৫০), মনোহরপুর গ্রামের মোকাম আলী মোল্লার ছেলে শরিফুল মোল্লা (৪৮),
কিসমত রাজাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (৪৫), গাওঘরা গ্রামের মৃত বাবলুর রহমানের ছেলে জাহিদুর রহমান বাচ্চু (৩৫), রামনগর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে ওসামা বিন ইব্রাহিম (২২), গাইদগাছি গ্রামের মৃত সাত্তার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (৪২), হার্টবিলা (জামতলা) গ্রামের মৃত তাইজুল মোল্যার ছেলে রওশন আলী (৫০) ও আব্দুলপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আনিছুর রহমান (৪৬)। পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৪ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে যশোর গাড়ীখানা রোডে আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে একত্রিত হয়ে লালদিঘীর পশ্চিমপাড়ে বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। তারা বিএনপি অফিসের ২টি ল্যাপটপ, স্টিলের আলমিরা, দেয়াল ঘড়িসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি লুটপাট করে ও সেই সাথে সাথে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ অফিস তছনছ করে করে অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশের দাবি তাদের উপর্যুপরী বোমা বিস্ফোরণে বিএনপি অফিসে অফিসের সহকারি মনিরুল ইসলাম (৩৬) ও পথচারী মাহবুব আলম কালুসহ অনেকে তা-ব প্রত্যক্ষ করেছেন। এই তা-বের অগ্রভাগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় শীর্ষ নেতারা ছিলেন। পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, যশোর শহর ও শহরতলীতে অন্তত ৪টি কিশোর গ্যাং তৎপর রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে ১০ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী, মাদক ও অস্ত্র কারবারী রয়েছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের অনেকের ছত্রছায়ায় এসব গ্যাং পরিচালিত হয়েছে।
এখন সময় এসেছে অপ্রতিরোধ্য ও বেপরোয়া অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা। যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান-চলমান পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে অপ্রতিরোধ্য সিন্ডিকেটগুলোর দিকে নজরদারি করছে পুলিশ। সুনিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের আটক করা হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীসহ সব ধরণের অপরাধী আটক ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment