শত্রুদের আমরা পরাজিত করবই, খামেনির অঙ্গীকার - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Friday, October 4, 2024

শত্রুদের আমরা পরাজিত করবই, খামেনির অঙ্গীকার

 


ইরানের শত্রুদের পরাজিত করার অঙ্গীকার করলেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তেহরানে ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় একথা বলেন তিনি।

প্রায় এক বছর ধরে গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও ইরাকে হাজার হাজার মানুষ হত্যা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরিজিসির কমান্ডারদের হত্যার জবাবে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইসরাইলে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। 

 
ওই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইসরাইল যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার জুমার নামাজে খুতবা দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। 
 
খুতবায় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, 

সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ আর আমাদের মধ্যে নেই। তবে তার আদর্শ ও তার দেখানো পথ আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। তার শাহাদাত এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে। নাসরুল্লাহর জীবনদান বৃথা যাবে না। আমাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

 

তিনি বলেন, নাসরুল্লাহর নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। 
 
ঐক্যের ডাক দিয়ে খামেনি বলেন, ‘আমাদের শত্রুপক্ষ মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ ছড়িয়ে দিতে বিভাজন ও ঘৃণার বীজ বপন করার নীতি অবলম্বন করে। একই পক্ষ আবার ফিলিস্তিনি, লেবাননি, মিশরীয় এবং ইরাকিদেরও শত্রু। তারা ইয়েমেনি ও সিরীয়দের শত্রু। আমাদের শত্রু একই।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অভিযানকে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন খামেনি।
 
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, লেবানিজ ও ফিলিস্তিনিরা দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়ছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার কোনো আন্তর্জাতিক আইনে নেই।
 
মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত ভূমি ও সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য ইসরাইলকে সহযোগিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেন খামেনি।

তিনি বলেন, ‘কোন সন্দেহ নেই যে জায়নবাদী ও আমেরিকানরা অনেক স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু আমরা জায়নবাদীদের শিকড় উপড়ে ফেলব। অবশ্য তাদের কোনো শিকড়ই নেই। এরা ভুয়া ও অস্থিতিশীল। শুধুমাত্র মার্কিন সমর্থন নিয়েই টিকে আছে।’
 
আজ খামেনিকে একনজর দেখতে তেহরানে খুতবায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। মুসল্লিদের কারও কারও হাতে হিজবুল্লাহর সবুজ ও হলুদ পতাকা ছিল। আবার কারও কারও হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad