যশেরে ১৪বছর পর প্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ( ২৩ আগস্ট ) বিকালে বাদশা ফয়সাল ইসলামি ইউনিস্টিটিউট মিলনায়তনে খন্দকার রাশিদুল ইসলাম রতন এর সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও যশোর শহর সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূল।
অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর সাংগঠনিক জেলা নায়েবে আমীর বেলাল হুসাইন ,যশোর সাংগঠনিক জেলার সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দস,অধ্যাপক আবুল হাসেম রেজা, গাউসুল আজম রেজাউল করিম জাকির হোসেন, ইকবাল হোসেন খান, এডভোকেট আজহারুল ইসলাম প্রমূখ। কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পেশাজীবি থানার সেক্রেটারি অবু ফয়সাল। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন
প্রধান অথিতি অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, সৎ দক্ষ ও দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান সমগ্র পৃথিবী জুড়ে অশান্তির মূলকারণ সততা ও পরকালের জবাবদিহিতার অভাব। পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের সর্বস্তরে যে অবক্ষয় অনাচার, লুটপাট ও দুর্নীতির ব্যাধিতে আক্রান্ত তার প্রধানতম কারণ অসৎ নেতৃত্ব। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সততা দক্ষতা দেশপ্রেম ও পরকালের জবাবদিহিতা সম্পন্ন নেতৃত্ব উপহার দিয়ে সেইশূন্যতাকে পূরণ করবে ইনশাআল্লাহ। এদেশের তারুণ্যনির্ভর ছাত্রসমাজ আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশের সন্ধান দিয়েছে। তাই ছাত্র সমাজের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতের নেতাকর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন,সেনাপ্রধান ঝুঁকি নিয়ে দেশের হাল ধরেছিলেন বলে বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের স্বৈরাচার থেকে মুক্ত হয়েছে। দেশের মানুষের পক্ষে সেনাবাহিনী ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। দেশের ক্রান্তিকালে তিনি সেনাবাহিনীর এ বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য সাধুবাদ জানান।
তিনি দেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে তার জন্য তাদের বিরোচিত সংবর্ধনা দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
বক্তারা বলেন দেশের সকল বিরোধী মতের মানুষ দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করেও শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে পারেনি। তরুণ ছাত্রসমাজ ও সর্বস্তরের জনগণ বিজয়ের যে ঐতিহাসিক সূচনা করেছেন তাদেরকে অবশ্যই মুল্যায়ন করতে হবে।
সংখ্যালঘু ইস্যুতে বলেন, একটি মহল সাম্প্রদায়িকতার ধুঁয়া তুলে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে তারা সফল হতে পারেনি।এদেশের জণগনের কাছে প্রমান হয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মীরাই এসব মন্দিরে হামলা চালিয়েছে। আবহমান কাল থেকে এদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ইসলাম প্রিয় জনতা অন্য ধর্মাবলম্বীদের মঠ-মন্দিরে দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন। তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। প্রধান অতিথি কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
No comments:
Post a Comment