যবিপ্রবির ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা, ভিসি আনোয়ারের এত অনিয়ম! - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Friday, August 16, 2024

যবিপ্রবির ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা, ভিসি আনোয়ারের এত অনিয়ম!


 যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যেন লাগামছাড়া দুর্নীতি-অনিয়মের কারখানা। আর এসব অনিয়মের নেপথ্যে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. আনোয়ার হোসেন। অনিয়ম-দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছেন খোদ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ আলোচিত ‘লিফটকাণ্ড’ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশে তদন্তও করেছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে উপাচার্য নিজের পদে বহাল থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এদিকে নানা সময়ে আলোচিত সমালোচিত ভিসি আনোয়ারসহ তার অনুসারীদের পদত্যাগরে দাবিতে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। গত সপ্তাহ থেকে চলমান আন্দোলন থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যারালসহ বিভিন্ন ম্যুরাল ভাংচুর করেছে। আজ শনিবারের মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলেও বৃহৎ কর্মসূচির ডাকও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

তবে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এই মুহূর্তে পদত্যাগের বিষয়ে তার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ তিনি ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক। ভর্তি প্রক্রিয়ার ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি ৩ শতাংশ শেষ করতে পারলে দায়মুক্ত হবেন। এরপর কী করবেন ভেবে দেখবেন।তবে সরকার চাইলে তিনি ভেবে দেখবেন।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২০ মে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদান করেন। চাকরির প্রথম মেয়াদে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ৫৫ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে তিনি ২০২১ সালের ১৯ মে ভিসি পদের মেয়াদ শেষ করেন। একই বছরের ১ জুন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসির দায়িত্ব পান। অভিযোগ উঠেছে, নানা দুর্নীতির মধ্যে তিনি যবিপ্রবির ১৪ লিফট স্থাপন নিয়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়ম করে আলোচিত হন। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আর লিফটকাণ্ডে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা বাসিন্দা আব্দুল করিম। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) রয়েছে ড. আনোয়ার হোসেনের দুর্নীতির ফাইল।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগ ও সরকার পতনের পর থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। কোথাও কোথাও পদত্যাগ করেছেন প্রক্টর, প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রায় সবাই। তবে দুর্নীতির অভিযুক্ত যবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর পদত্যাগ না করায় হতবাক ও ক্ষুদ্ধ হয়েছেন অনেকে। ফলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী ভিসি ও ভিসির অনুসারী হিসাবে পরিচিত ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. ইকবাল কবির জাহিদসহ উপাচার্যের অনুসারীদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার নাম রয়েছে এমন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ উসামাহ বলেন, আমরা আমাদের দেশ থেকে স্বৈরাচার দূর করতে পারলেও আমরা আমাদের ক্যাম্পাস থেকে এখনো পর্যন্ত স্বৈরাচার দূর করতে পারিনি। আমাদের এই ভিসির কাছে কোনো দাবি নেই কারণ এই স্বৈরাচার দালালের কাছে কোনো প্রকার দাবি আমরা রাখতে চাই না। তাই আমাদের এই আন্দোলনের একটাই মাত্র দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার স্বৈরাচার ভিসি, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতি সভাপতিসহ সকল দালালদের পদত্যাগ করতে হবে।

ভিসি আনোয়ারের যত অভিযোগ

বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া ১০ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে ৫৫ টি অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা বলা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিগুলো হলো যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডে পাশ করা ২০১৪ সালের ১৯ এপ্রিল (২৩/২৯তম) শিক্ষক নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন নীতিমালা অমান্য করেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা গবেষণা ভাতা গ্রহণ করেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আপত্তি জানায়।
সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে উপাচার্য ক্যাম্পাসে অবস্থানকালীন দিন প্রতি ১২৫ টাকা ভাড়া দিয়ে উপাচার্যের জন্য নির্ধারিত বাংলো সম্পূর্ণ ব্যবহার করেন এবং বাংলোর সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আপত্তি দেন।

২০১৪ সালের ৩০ জুন উপাচার্যের জন্য নির্ধারিত বাংলো ১ম পর্যায়ে নির্মাণ কাজ ১০০ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে বলে নিশ্চিতকরণ হয় এবং ২০২০ সালে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে পুনরায় মেরামত করা হলেও উপাচার্যের বাংলো নির্মাণাধীন বলে বাড়ি ভাড়া ফাঁকি দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেন। ঢাকায় উপাচার্যের পরিবারের সদস্যদের বসবাসের জন্য বাড়ি ভাড়া বাবদ নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। উপাচার্যের দফতর থেকে অস্তিত্বহীন কর্মচারীর নামে বেতন উত্তোলন করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতেন তিনি।

উপাচার্য নিজে লিফট প্রিশিপমেন্ট ইন্সপেকশন কমিটির মনোনীত সদস্য হিসেবে লিফট প্রিশিপমেন্ট ইন্সপেকশন না গিয়ে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ভ্রমণ ভাতা/বিমান ভাড়া হিসেবে ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নেন। উপাচার্যের নিয়োগ বাণিজ্যের সিন্ডিকেটের দাবি করা ১৭ লাখ টাকা দিতে না পারায় ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) পদে মুনজুরুর রহমান নামে এক যুবকের চাকরি হলেও যোগদান করতে দেননি।

বিনা টেন্ডারে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে আরএফকিউ পদ্ধতিতে নিজের অফিস ডেকোরেশন ও আপন বোনকে দিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে এসি সরবরাহ এবং ঢাকার নিজ বাসভবন সজ্জিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা অমান্য করে বিধি বহির্ভূতভাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি প্রদান ও এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে স্থানান্তর করেন। রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা বিশেষজ্ঞ সদস্য ব্যতিরেকে নিজের পছন্দের সদস্যদের দিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ সম্পন্ন করেন।

যবিপ্রবির আইন-২০০১ এর প্রথম সংবিধি, ধারা ৩৭(২), (৮) অমান্য করে বিধি বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন বিভাগের প্লানিং কমিটি গঠন করেন। যবিপ্রবির আইন-২০০১ এর বিভাগ সংক্রান্ত ২৫(৩) ধারা অমান্য করে বিধি বহির্ভূতভাবে বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রদান করেন। টিওই-এর অনুমোদনবিহীন ফিজিওথ্যারাপী অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ চালু করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অমান্য করে পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া ৩৫ বছর বয়সের ফিরোজ কবিরকে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে নিয়োগ দেন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অমান্য করে পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া ফিরোজ কবিরের স্ত্রী শর্মিলা জাহানকে ৩৩ বছরের অধিক বয়সে ফিজিওথ্যারাপী এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন। কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বোর্ড ছাড়াই ফিরোজ কবিরকে একটি পত্রের মাধ্যমে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ হতে ফিজিওথ্যারাপী অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অমান্য করে ও বাছাই কমিটির সুপারিশ ভেঙে মেডিকেল অফিসার পদে সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব এর স্ত্রী ডা. নুসরত জামানকে ৩৫ বছর ১১ মাস বয়সে নিয়োগ প্রদান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ হোসেন আরও অভিযোগ করেন, ৩ বছর ১১ মাসে যবিপ্রবির ক্যাম্পাস ৩৫ একর থেকে উন্নীত করতে নতুন ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প আনতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ এবং প্রশাসনিক অদক্ষতার পরিচয় দেন। সাবেক উপাচার্যের আমলে বরাদ্দ করা ২৮২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প ৩ বছর ১১ মাসে বেশিরভাগ প্রকল্প সম্পন্ন ও ব্যবহার উপযোগী করতে ব্যর্থ হন।

মুনশী মেহেরুল্লাহ ছাত্র হল (১০ তলা ভিতে ১০ তলা ভবন ১০০০ আসন বিশিষ্ট হল) নির্মাণ কাজ সম্পন্ন ও ব্যবহার উপযোগী করতে, বীর প্রতীক তারামন বিবি হল (২য় ছাত্রী হল ১০ তলা ভিতে ১০ তলা ভবন ১০০০ আসন বিশিষ্ট হল) নির্মাণ কাজ সম্পন্ন ও ব্যবহার উপযোগী করতে, ২য় একাডেমিক ভবন (১০ তলা ভিতে ১০ তলা ভবন) নির্মাণ কাজ সম্পন্ন ও ব্যবহার উপযোগী করতে তিনি ব্যর্থ হন।

এছাড়া টিএসসি ভবন নির্মাণ কাজ ৩ বছর ১১ মাসে সম্পন্ন ও ব্যবহার উপযোগী করতে ব্যর্থ হয়েছেন সদ্য বিদায়ী উপাচার্য। কেন্দ্রীয় চিকিৎসা কেন্দ্র ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও সেখানে ক্রয় করা চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন- এক্সরে মেশিন, ইসিজি, মিনি ওটি ইত্যাদি চালু করা হয়নি।

গ্লাস ও প্রাণী হাউস (১ তলা ভবন) নির্মাণ করার জন্য ডিপিপিতে আলাদা ভবন নির্মাণ করার কথা থাকলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৯ তলা বিশিষ্ট একাডমিক ভবনের ৯ম তলাতে শুধুমাত্র প্রাণী হাউস নির্মাণ করেন যা এখনও পর্যন্ত অসম্পূর্ণ। অন্যদিকে গ্লাস হাউস নির্মাণ কাজ যাওয়ার আগে তিনি শুরু করতেও পারেনি। তিনি অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ ও মেজর সারফেজ ড্রেন নির্মাণ কাজে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন যা ডিপিপিতে উল্লেখ থাকলেও এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি। বিভিন্ন ভবনে অগ্নি শনাক্তকরণ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের ক্ষেত্রে চরম অবহেলা ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন আনোয়ার হোসেন। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও কেমিক্যাল,

আসবাবপত্র, টেলিফোন ও পিএবিএক্স, জেনারেটর ও লিফট (২য় একাডেমিক ভবন, ২য় ছাত্র হল, ২য় ছাত্রী হল ও টিএসসি ভবনের জন্য) ক্রয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ এবং প্রশাসনিক অদক্ষতার পরিচয় দেন উপাচার্য। যবিপ্রবির নতুন একাডেমিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প আনতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ এবং প্রশাসনিক অদক্ষতার পরিচয় দেন তিনি। বিভিন্ন বিভাগের জন্য নতুন ল্যাবরেটরি উন্নয়ন প্রকল্প আনতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। চাকরির বাজারের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তিনি নতুন একাডেমিক ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশন করতে পারেননি। উপাচার্যের জন্য নির্ধারিত গাড়ি থাকলেও আনোয়ার হোসেন প্রায় ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয় করেন। এছাড়া বাড়ির ব্যক্তিগত ড্রাইভার আরিফকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রাইভার পদে ও আরিফের বোন ফাতেমাকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করা সত্ত্বেও নিরাপত্তা প্রহরী বসির উদ্দীনকে সহকারী স্টোর কিপার পদে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ায় মতো আরও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনে শিক্ষক সমিতি।

যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভাইস চ্যান্সেলর ড. আনোয়ার হোসেন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেকটা পেছনে নিয়ে গেছেন। তিনি পছন্দের কিছু লোকজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির রামরাজত কায়েম করেছেন। বর্তমানে তার পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী শিক্ষকরা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ না করলে আন্দোলন করা হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad