যশোরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানালেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সেই সাথে তিনি কিশোর গ্যাং ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আটকের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন-বিভিন্ন এলাকায় ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ নেতাদের লালিত পালিত কিশোর গ্যাং মাথাচাড়া দিচ্ছে। ফিরে আসছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এখনই এদের গ্রেফতার করা না হলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়ে অশান্ত করে তুলবে যশোরকে।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন-যশোরে হোটেল জাবিরে আগুন দেয়ার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যশোরে হিন্দু সম্প্রদায়সহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাত জেগে পাহারা দিয়েছে। তারপরও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এটি ১৭ বছরের অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিক্রিয়া। বিএনপির হাতেতো প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই যে, চাইলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তারপরও চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট রাত থেকে ভোর পর্যন্ত যশোর শহরে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনের বাড়ি পাহারা দেয় বিএনপির লোকজন। সেই ব্যক্তিও শনিবার মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশ নেন। কেবল তাই না, সমাবেশে অংশ নেয়া অনেকেই তাকে ফোন করে বলেছেন, তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন,‘আমরা ভেবেছিলাম, বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনা সাময়িক হবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আরও কিছুদিন চলতে পারে। এ কারণে শহরে পাড়া মহল্লা ও গ্রামে গ্রাম সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটিতে বিএনপির পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা, আন্দোলনকারী ছাত্রদের প্রতিনিধি, সামাজিক ও পেশাজীবী নেতারা থাকবেন। এই কমিটি স্ব স্ব এলাকায় পাহারা দেবে যাতে কোনো ভাবেই কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, হোটেল জাবিরে আগুন ধরার পর অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান, জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এখনো দু’টি ওষুধের দোকান থেকে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন জেনারেল হাসপাতালের সুপারকে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করতে বলা হলেও তিনি নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আসেননি। এ কারণে ডাক্তারের ব্যবস্থা করতে হয় অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে। এখনো পর্যন্ত বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অনেকের নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মোহাম্মদ ইসহক, মিজানুর রহমান খান, মারুফুল ইসলাম, গোলাম রেজা দুলু, আনিছুর রহমান মুকুল, সিরাজুল ইসলাম, মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment