বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে কাজ বন্ধ রেখেছে যশোর পৌরসভার হরিজন সম্প্রদায়। পৌরসভা শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রাখায় শহরের মোড়ে মোড়ে ময়লার স্তুপ জমা হয়েছে। পশু—প্রাণী ময়লা হাঁচড়ানোয় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পথচারীদের মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টার দিকে পৌর কতৃপক্ষের নির্দেশে যশোর পৌরসভার রেল স্টেশন হরিজন কলোনীর বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয় এবং গতকাল সোমবারও সারাদিন বিদ্যুৎ বন্ধ ছিলো।
শহরের রেলগেট তেঁতুল মোড় এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা না নিয়ে যাওয়ায় পশু—পাখিতে এসব ময়লা ছড়াচ্ছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার।
যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরণ লাল সরকার বলেন, বর্তমান মেয়র আমাদের সাথে আলোচনা না করে রেল স্টেশন এলাকার হরিজন কলোনির বিদ্যুৎ লাইন গত দুইদিন ধরে বিচ্ছিন্ন রেখেছে। তার প্রতিবাদে আমরা পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পৌরসভার সকল পরিচ্ছন্নের কাজ বন্ধ রেখেছি। আমরা নিজের আলোচনা করেছি। আজ থেকে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব।
যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকছিমুল বারী অপু বলেন, পৌরসভার কোন কোন এলাকায় এনজিও কর্মীরা কাজ করে আবার কোন কোন এলাকায় পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ করে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যে এলাকায় কাজ করে এদের কিছু পরিচ্ছন্ন কর্মী স্ট্রাইক করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখন তারা পৌরসভার ইলেকট্রনিক লাইন নিয়ে ফ্রিজ, এসিসহ সকল লাইন চালায়, কিন্তু কোন বিল দেয় না। এই কারণে পিডিবির কাছে পৌরসভা কোটি কোটি টাকা দেনা হয়ে আছি। আমরা এ টাকা পরিশোধ করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রোডের লাইনও কেটে দিয়েছিল কিন্ত পরে আমরা এটা প্রিপেইড মিটার করে নিয়েছি ও বাকি সব বিল প্রতিমাসে দুই মাসের করে পরিশোধ করে দেবো। এটা সেভাবে শোধ হচ্ছে। তবে হরিজন কলোনীর বিদ্যুৎ বিল আমরা পরিশোধ করিনি। ওদের বিদ্যুৎ তো পৌরসভার কোনো কাজে লাগছে না। তারা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, তিনটে কলেনীর বিল বাকি শুধু সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। তাদের এ টাকা পৌরসভা পরিশোধ করবে না। তারা বলছে ওদের দাবি না মানলে তারা ডাস্টবিনের ময়লা নেবে না ও রাস্তা ঝাড়ু দেবে না। এখন তারা যাই করুক তাদের সাথে কোন কম্প্রোমাইজে যাওয়া হবে না। আমরা নিজেরা সবাই বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব কি করা যায়।
No comments:
Post a Comment