সুদের টাকা ফেরত চাওয়ায় হত্যার পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো যশোর সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা মহাসিনকে। জড়িত সিকিউরিটি গার্ড মেহেদী হাসান লিখনকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য দিয়েছে। আজ রোববার বিকেল যশোর ডিবি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিবি পুলিশের ওসি রুপণ কুমার সরকার জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মহসিন মন্ডল ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরের দিন সকালে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মান্দিয়া মসজিদের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়ানো ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তার ভাই কোরবান আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত শুরু করে এবং মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ধরে সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামের সিকিউরিটি গার্ড মেহেদী হাসান লিখনকে গ্রেফতার করে। আটকের পর সে জানায়, জরুরী প্রয়োজনে সে মহসিন মন্ডলের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে মহাসিন মন্ডল টাকা পরিশোধের জন্যে চাপ দিচ্ছিলো। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সুদের টাকা নেয়ার জন্য মেহেদীর অফিসে গেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ল্যাপটপের পাওয়ার ক্যাবল মহসিন মন্ডলের গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে। এরপর মৃতদেহ গোপন করার জন্যে ট্রাকে করে বালিয়াডাঙ্গায় নিয়ে যায় এবং ডিজেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। যাতে লাশ কেউ চিনতে না পারে।
আটক মেহেদী হাসান লিখন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আকবর হোসাইনের ছেলে। তিনি যশোর সদর উপজেলার নুরপুর মধ্যপাড়া গোলদার পট্টিতে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
No comments:
Post a Comment