যশোরে হামিদপুরের একটি দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ বিএডিসির এমওপি সার উদ্ধার ঘটনায় হৈচৈ শুরু হয়েছে। ফতেপুর ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দ করা ওই সার দোকানে আসা ও গোপনে বিক্রি প্রক্রিয়া নিয়ে আসছে নানা তথ্য। ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় ফতেপুর ইউপি চেয়াম্যান সোহরাব হোসেনের নাম উঠে আসছে। কৃষকদের জন্য বরাদ্দ সার আত্মসাত করে বিক্রির উদ্দেশে রোববার নসিমনযোগে চেয়ারম্যান স্থানীয় নয়ন এন্টারপ্রাইজে পাঠান বলে অভিযোগ। আর এ অভিযোগেই স্থানীয় জনতা সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত করে এবং আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি নেয়।হামিদপুর ও ফতেপুর এলাকার একাধিক সূত্র থেকে তথ্য এসেছে, রোববার এদিন সন্ধ্যায় এলাকার নসিমন চালক সাইফার আলী ২০ বস্তা সরকারি এমওপি সার নিয়ে বাজারের নয়ন এন্টারপ্রাইজে আসেন। সার, সিমেন্ট ও কীটনাশক বিক্রেতা শাহাব উদ্দিন আহম্মেদের দোকানে ওই সার পৌঁছালে স্থানীয় কৃষক-জনতা খবর পেয়ে দোকান ঘেরাও করে। ঘণ্টা খানেক কৃষকরা ওই দোকানের সামনে হট্টোগোল করে। পরে স্থানীয় চানপাড়া ফাঁড়ি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
স্থানীয় কৃষক রমজান আলী জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তার একটি গুদামে ওই এমওপি সার গোপনে রেখে দিয়েছিলেন। রোববার একটি নসিমনযোগে ওই সার নয়ন এন্টারপ্রাইজে পাঠান বিক্রি করতে। এর কিছুদিন আগে কৃষকদের মধ্যে ওই সারের একটি অংশ বিতরন করা হয়। অনেক কার্ডের অনুকুলে সার না দিয়ে প্রতারণা করে আত্মসাৎ করে বিক্রি করেছে। তা রোববার সন্ধ্যায় ধরা পড়েছে।
এদিকে, রাতে স্থানীয় কয়েকজন যুবলীগ নেতা জানিয়েছেন, এটা কৃষি প্রণোদনার সার। বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য। কিন্তু চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তা আত্মসাৎ করে বিক্রি করেন নয়ন এন্টারপ্রাইজের কাছে। এলাকার নসিমন চালক ও সার বহনকারী সাইফার আলী এবং দোকানি তাদের কাছে চেয়ারম্যানের সার বলে স্বীকারও করেছেন।
এদিকে, রাতে স্থানীয় কয়েকজন যুবলীগ নেতা জানিয়েছেন, এটা কৃষি প্রণোদনার সার। বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য। কিন্তু চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তা আত্মসাৎ করে বিক্রি করেন নয়ন এন্টারপ্রাইজের কাছে। এলাকার নসিমন চালক ও সার বহনকারী সাইফার আলী এবং দোকানি তাদের কাছে চেয়ারম্যানের সার বলে স্বীকারও করেছেন।
No comments:
Post a Comment