মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে ১৯ জানুয়ারি ৯ দিনব্যাপী মধুমেলা শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে সাগরদাঁড়িকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মধুভক্তের উপস্থিতিতে এবারও মুখরিত হবে কপোতাক্ষ নদের পার।
মেলা উপলক্ষে সাগরদাঁড়িকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। কপোতাক্ষ নদ পাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মধুভক্তের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে মেলা প্রাঙ্গন। মেলা চলবে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এদিন বিকাল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসাবে উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়ার অধ্যাপক প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। মধু মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মধু মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আরবাউল হাছান মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য দেবেন মধু মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন।
বিশেষ অতিথি থাকবেন এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, এমপি ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন, এমপি কাজী নাবিল আহম্মেদ, এমপি এনামুল হক বাবুল, এমপি ইয়াকুব আলী, এমপি আজিজুল ইসলাম, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোর জেলা পরিষদের চোরম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল ও কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু ও সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত। সঞ্চালনা করবেন যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আবু নাছির ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস। মেলার উদ্ধোধনের পর সন্ধ্যায় মধুমঞ্চে অতিথিদের আলোচনা সভা শেষে নাটক, যাত্রাপালাসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
প্রতিবারের মত এবারের মেলা আকর্ষণীয় করে তুলতে উন্মুক্ত মঞ্চে কবিতা আবৃত্তি, নাটক, যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, মেলার মাঠে সার্কাস, মৃত্যুকুপ, নাগোরদোলা, যাদু প্রদর্শনী, কৌতুকসহ বিভিন্ন বিনোদনের সুযোগ রয়েছে।
মধুমেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আরবাউল হাছান মজুমদার মধুমেলা অশ্লীলতামুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মধুমেলাতে সব কিছু শালীনতার মধ্য দিয়ে উপস্থাপন করার জন্য কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন বলেন, মেলায় মধুভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ও পাশাপাশি ডিবি, জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাথে সাদা পোশাকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা থাকবেন। এছাড়া মাঠে একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। স্থানীয়ভাবে শতাধিক যুবকদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেচ্ছাসেবক বাহিনী।
No comments:
Post a Comment