যশোরে এবার ৭৩১টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে জিরো টলারেন্সে থাকবে জেলা প্রশাসন। পূজায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বক্ষণিক তদারকি। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ করবে মনিটরিং টিম। মাঠে থাকবে র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। জেলা পুলিশ বিভাগের নেতৃত্বে থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স। শারদীয় দুর্গাপূজায় জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সুশীল সমাজ সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কালেক্টরেট সভাকক্ষে সকাল সাড়ে দশটায় আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। বিগত মাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শাহীন।সভায় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা রুখে দেয়া হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে ঘটাতে না পারে সেজন্য তৎপর থাকবে জেলা পুলিশ। এ জন্য তিনি রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজার শান্তিপূর্ণ আয়োজনে পাশে থাকবে জেলা প্রশাসন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ দেশে বরাবরের মতো সর্বজনীন এ উৎসবে সবাই একসাথে অংশ নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে অফিস ও বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় বক্তৃতা করেন বিজিবি যশোরের সহঅধিনায়ক মেজর সেলিমুজ্জামান, সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, কেশবপুর পৌরমেয়র রফিকুল ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর ইদ্রিস আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাক, আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট সনজয় কুমার সাহা, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন, জেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment