যশোর শহরের বড় বাজার কালিবাড়ির পিছনে ভৈরব নদ থেকে শুকুর আলী (২৪) নামে এক যুবক ফেরিওয়ালার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের পরনে ফুলপ্যান্ট ও খালি গা ছিলো। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয়রা ভৈরব নদে লাশটি ভাসতে দেখে খবর দিলে পুলিশ উদ্ধার করে। নিহত শুকুর আলী পিরোজপুর জেলার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
সে স্ত্রী নিয়ে শহরের মোল্লাবারান্দিপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকে। পেশায় একজন ভেরি ওয়ালা। ব্রাশ, কলম, লুুছনিসহ বিভিন্ন জিনিস ফেরি করে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। এঘটনায় শহরের দড়াটানা ব্রিজের সামনের হোটেল দিল্লি দরবারের নাইট গার্ড রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়।
ডিবি পুলিশের এস আই রাজেশ জানান, শুকুর আলী মাদকাশক্ত।
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে মোল্লাবারান্দি পাড়ার বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া করে স্ত্রীকে কাজ আছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। এরআগে মোল্লাপাড়ার ভাড়া বাড়ির পাশের একটি বাড়ি নিজের বাড়ি মনে করে দরজা ধাক্কা করে। কেউ সাড়া না দেয়ায় সেখান থেকে চলে যায়। এ সময় তার মোবাইল ফোনটি ওই বাড়ির দরজার সামনে পড়ে যায়।
নেশাগ্রস্থ থাকায় শুকুর টের পায়নি। মোবাইল ফোনে শুুকুরের ছবি দেখে শনিবার ২ সেপ্টেম্বর সকালে ওই বাড়ির লোকজন মোবাইল ফোনটি তার স্ত্রীর কাছে দিয়ে আসে। রোববার সকালে শহরের বড়বাজার কালিবাড়ির পিছনে ভৈরব নদ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা লাশটি ভাসতে দেখে খবর দিলে পুলিশ উদ্ধ্রা করে। শুকুর আলী পেশায় একজন ফেরিওয়ালা। ভ্যানে করে ব্রশ, কলম, লুসনিসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করতো। পুলিশের সংগৃহীত সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে শনিবার রাত ২ টার দিকে শহরের দড়াটানায় আখি অপটিক্যালের গলি দিয়ে শুকুর হোটেল দিল্লি দরবারের দিকে যায়। যাওয়ার সময় হোটেল দিল্লি দরবারের নাইটগার্ড রুহুল আমিনের টানানো মশারি তার পায়ে বেধে খুলে যায়।
এ নিয়ে গার্ড রুহুল আমিনের সাথে শুকুরের বাকবিতন্ডা হয়। এরপর শুকুর আলীকে আর পাওয়া যায়নি। শুকুর আলী নিহতের ঘটনায় হোটেল দিল্লি দরবারের গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, স্থানীয়দের কাছে ভৈরব নদে লাশ ভাসার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর শুকুর আলী নামে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুও কারণ উদঘাটনের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
No comments:
Post a Comment