যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Thursday, August 24, 2023

যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা


 নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) কামাল উদ্দিন ।

সোমবার দুদকের উপপরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য ড. মো. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। ওই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু কাউকে পাস করানো হয়নি। বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তার বেতন-ভাতাবাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ হয়।
দুদকের উপপরিচালক মো. আল আমিন বলেন, ইতিমধ্যে তারা প্রাথমিক ভাবে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন। অধিকতর তদন্ত হবে। মামলার তদন্তকালে এ ঘটনার সাথে অন্যকারও সম্পৃক্ততা পেলে তা আমলে নেয়া হবে।


No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad