যাত্রী সেজে অটো রিকশায় উঠে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ফিলে কৌশল নিয়ে চুরি করে পালানোর এক পর্যায় জনগণ সোহাগ নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। সে নড়াইল জেলার সদর উপজেলার ভদ্রবিলা গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মামলা হয়েছে।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দোনার দাসপাড়া গ্রামের গঙ্গা দাসের ছেলে দুলাল দাস বাদি হয়ে গণধোলাইয়ের শিকার সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি একজন ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা চালক। সদর উপজেলার সূতীঘাটা গ্রামের জনৈক রবিউল ইসলামের কাছ থেকে ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ভাড়া নিয়ে বাদি যশোর শহর এলাকায় চালিয়ে থাকে। প্রতিদিনের ন্যায় গত সোমবার ২১ আগষ্ট দুপুর ১২ টায় অটো রিকশা ভাড়া নিয়ে বাদি যশোর শহরে চালাতে থাকে। বিকেল ৬ টায় বাদির অটো রিকশা চিত্রা মোড়ে অবস্থানকালে সোহাগ যাত্রী সেজে অটো রিকশায় উঠে মণিহার মোড়ে যাবে বলে বাদিকে জানান।
মণিহার মোড়ে যাওয়ার পর সোহাগ রিকশা হতে নেমে করিম পাম্পে যাবে বলে ভাড়া পরিশোধ না করে দাড়াতে বলে। সেখানে কিছুক্ষন অবস্থান করার পর পুনরায় রিকশায় উঠে বকচর করিম তেল পাম্পের দিতে যেতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর সোহাগ অটো রিকশা চালককে বাইপাস হয়ে হয়ে জোড়া মন্দিরে যেতে বলে এবং পুনরায় ফিরে আসবে বলে জানায়। সোহাগেন কথামতো নিয়ে যাওয়ার পর রাত পৌনে ৮ টায় বকচরস্থ জোড়া মন্দিরের পিছনে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে যাত্রী বেশে চোর সোহাগ বাদিকে অটো রিকশা থামাতে বলে।
রিকশা থামানোর পর সোহাগ বাদিকে একটি পানির বোতল কিনে আনতে বলে। বাদি সোহাগের কথামতো রাস্তার বিপরীত পাশে পানির বোতল আনতে যায়। ওই সময় বাদি দেখতে পান চোর সোহাগ বাদির অটো রিকশা নিয়ে চালিয়ে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। বাদি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অটো রিকশাসহ সোহাগকে ধরে ফেলে। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
No comments:
Post a Comment