যশোরের শার্শায় গবাদি পশুর শরীরে দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)রোগ। সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকটি গরু ইতিমধ্যে মারা গেছে। ফলে গরুর খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। রোগটির সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক নেই। এরই মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গরু মারা যাওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা।
অভিযোগ রয়েছে রোগটি ব্যাপক আকার ধারণ করলেও মাঠে দেখা যাচ্ছে না প্রাণী সম্পদ বিভাগের লোকজনদের। ফলে গ্রামের কিছু হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। এতে গরু সুস্থ না হয়ে উল্টো আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
জানা গেছে, সারা উপজেলায় এক হাজারেরও বেশি গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে অনেক গরুর মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারী ভাবে গরু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে তবে গরুর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেনা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। কিন্তু বাস্তবে অনেক বেশি গরুর মৃত্যু হয়েছে। অনেক খামারি ও কৃষক ‘লাম্পি স্কিন’ রোগে আক্রান্ত গরু বিক্রি করছেন কম দামে। প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।
উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এই রোগ দেখা দিয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামের পর গ্রাম। গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ। বর্তমান সময়ে নিত্যপণ্যের ঊর্ধগতির পরিস্থিতিতে টাকা পয়সা হাতে না থাকায় আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পশুর মালিকদের।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিণয় কৃষ্ণ মন্ডল মুঠোফোনে জানান, এই রোগের ফলে গরু খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। গায়ে গুটি গুটি ফোড়ার মতো হয়ে পেকে পুঁজ বের হয়। একটি গরু সুস্থ হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগে।তিনি আরও বলেন, অসুস্থ গরুটিকে প্রথমেই আলাদা করতে হবে। মশারি টানিয়ে রাখতে হবে, যাতে মশা বা মাছি তার শরীরে না বসে। কেননা মশা বা মাছি অসুস্থ গরুটিকে কামড় দিয়ে যদি সুস্থ কোনো গরুকে কামড়ায় তবে সেটিও অসুস্থ হয়ে পড়বে। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আমরা ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
No comments:
Post a Comment