বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পর পাটুরিয়া থেকে গোয়ালন্দে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ণে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অননুমোদিত প্রকল্পের তালিকায় থাকা এ প্রকল্পের প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বলেন, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া রুটে এ সমীক্ষা করা হয়েছে। দেশের মধ্য ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলার বাসিন্দাদের পদ্মা নদী পারাপারে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দে অবস্থানের চেয়ে মাওয়া-জাজিরায় অবস্থানে বেশি সময় লাগবে। ঢাকা এবং দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও নড়াইলের একাংশ, গোপালগঞ্জ, যশোর এবং মাদারীপুর জেলার দূরত্ব কমানোর জন্য পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।
তারা জানায়, প্রস্তাবিত দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ দশমিক ১ মিটার। দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক হবে সাড়ে ১৫ কিলোমিটার। নদীশাসনের কাজ হবে দুই প্রান্তে ১৮ দশমিক ৪ কিলোমিটার। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপান ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি)।
এছাড়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ যাতে এখন থেকেই দাতাদের প্রতিশ্রুতির জন্য কাজ করতে পারে সেজন্য প্রকল্পের একটি প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস বলেন, আমরা দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইআরডি’র মাধ্যমে বৈদেশিক ঋণ চাচ্ছি। এটা ফাইনাল হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ।
পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য দ্বিতীয় পদ্মা সেতুসহ বড় ধরনের ৯টি প্রকল্পে প্রাথমিক খরচ ধরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) যুক্ত করা হয়েছে। মেট্রোরেল লাইন-২, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, কমলাপুরে মাল্টি মডেল হাব নির্মাণ, ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার হাইওয়ে উন্নয়ন, বে টার্মিনাল নির্মাণসহ মোট ৯টি মেগা প্রকল্পে প্রাথমিক খরচ প্রাক্কলন করা হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা।
No comments:
Post a Comment