যশোরে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ আফ্রিকান প্রজাতির মাগুর মাছ ধ্বংস করা হয়েছে। একই সাথে ৮০ লাখ রেনু পোনা ও ১ লাখ ছোট পোনা মজুদের দায়ে দুইজনকে এক হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৮০ কেজি বড় মাছ মজুদের দায়ে পুকুর মালিককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার কাজীপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালিত হয়। র্যাব-৬ যশোর ও উপজেলা মৎস্য অফিসের যৌথ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ।
দন্ডপ্রাপ্ত যশোর সদর উপজেলার কাজীপুর এলাকার মৃত মফিজ মিস্ত্রির মেয়ে রাহেলা খাতুন ও আকবর আলী মেয়ে সাহিনা খাতুনকে এক হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, একই এলাকার পুকুর মালিক মৃত সাখাওয়াতের ছেলে সালাম হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারা দেয়া হয়েছে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্প সূত্রে জানাগেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে সদর উপজেলার কাজীপুর এলাকার বিভিন্ন জাতের মাছের রেনু ও পোনা উৎপাদনের আড়ালে অবৈধ আফ্রিকান মাগুর মাছের রেনু ও পোনা উৎপাদন করছেন। অন্যদিকে একই এলাকার আরো এক পুকুরে মাছ চাষের আড়ালে অবৈধ আফ্রিকান মাগুর মাছ মজুদ করা হয়েছে; এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালালে অভিযোগের সত্যতা মেলে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আফ্রিকান এই মাগুর মাছ ধ্বংস করা হয়।
যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপ দাস জানান, ২০১৪ সাল থেকে আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, উৎপাদন, বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কারণ এ মাছ চাষের ফলে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। কোনোভাবে যদি পুকুর বা অবরুদ্ধ জলাশয় থেকে এ মাছ নদীতে বা মুক্ত জলাশয়ে চলে আসে তাহলে বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের জন্য মহা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
অভিযানে র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান, সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment