পূর্ব শত্রুতার কারনে গালিগালাজের এক পর্যায় পথরোধ করে গালিগালাজ করতে থাকলে প্রতিবাদ জানালে লোহার রড দিয়ে মারপিট করে নগদ ১০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার এজাহার নামীয় আসামী খায়রুজ্জামান ওরফে লিপ্টনকে আটক করেছে। সে সদর শহরের খড়কী দক্ষিণপাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে।
হামলার ঘটনায় খড়কীর দক্ষিণপাড়ার আবুল কালামের ছেলে মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোতয়ালি থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামীরা হচ্ছে,খড়কী দক্ষিণপাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে লিপ্টন, একই এলাকার জিহাদ আলী গাজীর ছেলে রিন্টু গাজী, খলিলের ছেলে রিফাত হোসেন, রফিকের ছেলে লিপু, ইসমাইলের ছেলে ইমরান হোসেন, সাদেক এর ছেলে রায়হান ও লূৎফর রহমানের ছেলে সবুজ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামীরা সংঘবদ্ধ অপরাধ দলের সক্রিয় সদস্য। এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। বাদি গত ২ এপ্রিল বেলা পৌনে ৫ টায় বাদি ও খড়কী বাবুর আলী গাজীর ছেলে কালাম একত্রে বাড়ি হতে খড়কী বায়তুননুর জামে মসজিদে আছরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় আসামীরা তাদের লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। জীবন নাশের হুমকী দেয়। বাদি তাদের কথায় কর্ণপাত না করে নামাজ পড়তে চলে যায়। আছারের নামাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে খড়কী দক্ষিণপাড়াস্থ লিপ্টন হোসেনের বাড়ির সামনে সোলিং রাস্তার উপর পৌছালে পূর্ব শত্রুতার কারনে আসামীরা তাদের সহযোগীদের সহায়তায় বাদি ও তার পরিচিত লোকের লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় মা বোন তুলে গালিগালাজ করে।
বাদি ও তার বন্ধু কালাম হোসেন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে লিপ্টনের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ী মারপিট করে। বাদির সাথে থাকা কালাম হোসেন ঠেকাতে গেলে তাকেও আক্রমন করে। আসামীদের লোহার লডের আঘাতে কালাম হোসেন ও বাদি গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থানার এক এসআই খায়রুজ্জামান লিপ্টনকে গ্রেফতার করে। বুধবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
No comments:
Post a Comment