স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশের সব থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়কে সর্বাধিক সুবিধা সম্মিলিত ভবনে রূপান্তরিত করা হবে। ইতোমধ্যে ১০১টি থানার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরো ৫০ টি থানার ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ ৯টি কার্যালয় নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৪ মার্চ) দুপুর দেড়টায় যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গণ এখন মুক্ত। যে যার মত কর্মসূচি করতে পারছে। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা পছন্দ করে না। আমরা বিশ্বাস করি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে শেখ হাসিনার সরকারকে ভোট দিয়ে সংসদে আনতে।
তিনি বলেন, আগামী ১০ বছর পর দারিদ্রতা বলে কিছু থাকবে না। সেই সময়ের প্রজন্মকে দারিদ্রতার কথা বললে তারা বিশ্বাস করবে না। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি স্বনির্ভর, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। যেন তারা সারাবিশ্বে মাথা উঁচু করে বলতে পারে।
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান ও খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর ২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডাক্তার নাসির উদ্দিন, যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, আসনের সংসদ সদস্য বাবু রনজিত কুমার রায়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন, সাংবাদিকবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং প্রমুুখ।
No comments:
Post a Comment