বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরের পর থেকে ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস নিযে তুমুল হইচই পড়ে যায়। কাকন রহমান খান স্ট্যাটাসে লেখেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি সুলতান’স ডাইন থেকে ৭টি কাচ্চি এনেছিলেন। খাবার সময় মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয় তার। মাটন (খাসির মাংস) বলা হলেও তিনি অভিযোগ করে লেখেন, মাটনের হাড় এমন চিকন হয় না।
এরপর দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, এই ঘটনার পর সুলতান’স ডাইনের গুলশান ২ এর নম্বরে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করেন এটা কিসের মাংস ছিল? পরে তারা ২জন লোকসহ আবার খাবার পাঠায়। ওনাদের এজিএম আশরাফও আসেন নতুন খাবারের সাথে।
তিনি লেখেন, আগের প্যাকের খাবারের হাড়ের সাথে এবাবের মাংসের তুলনা করতে বললে এজিএম আশরাফ মানতেই নারাজ হয়ে বলেন, জেনেশুনে এমন মাংস দেয় না।
তারা বলে, তাদেরকে যে ভেন্ডর মাংস দেয়, তারা আসলে কোন কিছু করতে পারে।
এরপর এজিএমকে প্রশ্ন করা হয়- তাহলে ভেন্ডরের কাছ থেকে মাংস নেয়ার সময় কি আপনাদের মত এত বড় ব্রান্ডের কোনো কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার নেই?
আপনিকি ২টা মাংস সেইম দেখতে পাচ্ছেন প্রশ্ন করলে ওনারা উল্টা প্রশ্নকরে তাহলে আপনারা কি দিয়ে মিটাতে চান? ইন্ডিরেক্টলী টাকা অফার করে এবং বলে আপনারা ঝামেলা করলে আমরাও জানি কি করতে হয়।
এরপর ৯৯৯এ কল দেন ওই ভোক্তা। ৯৯৯ থেকে বলে বিএসটিআই এর নম্বরে অভিযোগ করতে।
পরে সুলতানস ডাইনের ম্যানেজার মালিকের সাথে কথা বলে চলে যায়। আর যাবার সময় বলে, আপনারা অভিযোগ করলে আমরা কিন্তু টাকা দিয়ে সলভ্ করব সাংবাদিককে বলে।
আপনারা বিপদে পড়বেন।
এ বিষয়ে জানতে সুলতাইন’স ডাই এর পেজের নম্বরে কল দেওয়া হলে অপর প্রান্ত থেকে একজন নারী কল রিসিভ করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি আমরাও দেখেছি। কিন্তু এটা সত্য নয়। প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে বলে ফোনটি কেটে দেন।
No comments:
Post a Comment