দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার পর আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট বেনাপোল ইমগ্রেশনে চালু হচ্ছে ই-গ্রেইট সিষ্টেম। পুলিশ ছাড়ায় করা যাবে ইমিগ্রেশনের কাজ। বন্দরে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। ম্যানুয়াল পদ্ধতির ঝামেলা না থাকায় মাত্র ১৮ সেকেন্ডে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ভোগান্তি না থাকায় ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে সহজে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পেরে খুশি যাত্রীরা।
জার্মানির সাথে জিটুজি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে শুরু হয় ই-পাসপোর্ট সুবিধা৷ একই প্রকল্পের অংশ হিসেবে এবার ৬টি ই-গেইট বসানো হয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে। এতে যাত্রী ভোগান্তী লাঘবের পাশাপাশি কমবে সময়ের অপচয়। স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থারার ফলে যাত্রীরা ইমিগ্রেশন পুলিশের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া নিজেই ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে দেশের ২২স্থলবন্দরে চালু করা হবে ই গ্রেট।ইতিমধ্যে ঢাকা ও চট্রগ্রামে চালু হয়ে ই সিষ্টেম। ই-গেট ব্যবহারের পদ্ধতিতে প্রথম ধাপে প্রবেশপথে নিজের ছবি, তথ্য ও বারকোডযুক্ত ই-পাসপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠা স্ক্যান করলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে যাত্রীর সব তথ্য যাচাই শেষে খুলে যাবে প্রথম গেইট।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ক্যামেরাযুক্ত ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে যাত্রীর মুখমণ্ডল মিললে খুলে যাবে দ্বিতীয় গেইট। সার্ভার এবং সিষ্টেম ঠিক থাকলে মাত্র ১৮ সেকেন্ডেই শেষ হবে একজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া৷
বেনাপোল চেকপোষ্টে দায়িত্বরত পাসপোর্ট ভিসা সেলের উপ পরিচালক শাহজাহান আলী ও ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান,ই-পাসপোর্টের ইমিগ্রশন সিস্টেমে চালু হচ্ছে ই-গেইট। এখন থেকে উন্নত দেশের মতো মাত্র ১৮-২০ সেকেন্ডে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা। শুধুমাত্র আগমন ওপ্রত্যাগমন সিল দিবেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, ই-সেবা চালুর কারণে আগের মতো দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ঝামেলা নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরে মহা খুশি তারা-সরকারকে ধন্যবাদ জানান পাসপোর্ট যাত্রীসহ স্থানীয়রা
৪ মার্চ চালু হচ্ছে বেনাপোলে চেকপোষ্টে ই গ্রেইট সিষ্টেম। প্রস্তুত বন্দর কাষ্টম ইমিগ্রেশন সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এজেন্সি। বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ই গ্রেইট এর আনুষ্টানিক উদ্ভোধন করবেন বলে জানান বন্দর -উপ পরিচালক(প্রশাসন):মনিরুজামান মনির।
No comments:
Post a Comment