যশোরে ঈদ বাজারের নামে চলছে গলাকাটা ব্যাবসা - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Wednesday, March 29, 2023

যশোরে ঈদ বাজারের নামে চলছে গলাকাটা ব্যাবসা

 


আবারো জেলা পরিষদ যশোরের আয়োজনে মাসব্যাপী অস্থায়ী ঈদ বাজারের নামে যশোর অঞ্চলের মানুষের গলা কাটার ফাঁদ পাতা ঈদের বাজার উদ্বোধন করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার ২৭ মার্চ যশোর জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে মেলা উন্নয়ন দোকান মালিক সমিতির পরিচালনায় মাসব্যাপি এ বাজারের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল। খোদ জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে মাস ব্যাপী ঈদ বাজার বসানোর ফলে জেলা পরিষদ মার্কেট ব্যবসায়ী ও যশোর কালেক্টরেট ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দারুন ক্ষোভ বিক্ষোভ। তারা অবিলম্বে এ অবস্থা থেকে বাাঁচার জন্য যশোর বনিক সমিতিসহ জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জেলা পরিষদ মার্কেট ব্যবসায়ী ও কালেক্টরেট মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, জেলা পরিষদ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদ বাজারের নামে মাস ব্যাপী জায়গা ভাড়া দেয়ায় সরকারে কোষাগারে কি পরিমানের অর্থ ঢুকছে তা নিয়ে সন্দিহান প্রকাশ করেছেন খোদ জেলা পরিষদে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। জেলা পরিষদ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্য বহন করে। সেই ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠানে ঈদ বাজারের নামে জায়গা ভাড়া দেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত। তাছাড়া, জেলা পরিষদের দক্ষিণ পশ্চিম দিয়ে প্রবেশের গেটের মুখ থেকে জেলা পরিষদের ভবনের দক্ষিণ অংশের প্রবেশের রাস্তা মূলত ভাড়া দেওয়া হয়েছে এক মাসের জন্য।

তবে এক মাসের জন্য ঈদ বাজারের নামে মেলা উন্নয়ন দোকান মালিক সমিতির পরিচালনার ব্যানারে মাসব্যাপী যে বাজার দেওয়া হয়েছে আসলে এরা কারা। খোজ নিয়ে জানাগেছে, মেলা উন্নয়ন দোকান মালিক সমিতির ব্যানারে যে মাস ব্যাপী যে ঈদের বাজার বসছে এই বাজারে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুমন শরীফ। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের পথে বসানোর টার্গেট নিয়ে ও যশোর অঞ্চলের মানুষের পকেট ও গলা কাটা দাম হাকানোর জন্য আয়োজিত এ মেলায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মেলা ব্যবসায়ী আলী আজগার,সাজ্জাদ হোসেন বাবু, শরীফ হোসেন, শফিকুল শরীফ, হান্নান হোসেন, আওয়াল হোসেন,নাদিম হোাসেন ও জাহিদ হোসেন প্রমুখ। যশোর জেলা পরিষদ মার্কেট ও কালেক্টরেট ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, জেলা পরিষদের জায়গা ভাড়া নিয়ে যে ঈদের বাজার বসানো হয়েছে। এদের উদ্দেশ্য যশোর অঞ্চলের ক্রেতাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চটকদারি পোশাক চড়ামূল্যে বিক্রি করে জনসাধারনকে ঠকানো। বিগত কয়েক বছর যাবত কতিপয় ব্যবসায়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ভূল বুঝিয়ে ঈদের বাজার বসিয়ে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের পথে বসানোর উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ মেলায় যারা আয়োজন তারা একটি স্টল ভাড়া দিয়েছে এক মাসের জন্য নূন্যতম পজিশন আকারে ১০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। জেলা পরিষদকে নামে মাত্র ভাড়া দিয়ে মেলা আয়োজন কমিটি এ মেলায় স্টল ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০লাখ টাকা। একটি স্টল এক মাসের জন্য ভাড়া দেওয়া হচ্ছে নূন্যতম ১০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে স্টলগুলির সংখ্যা হিসাব করলে বেরিয়ে আসবে মেলার আয়োজন কমিটির পকেটে এক মাসে কত টাকা যাচ্ছে। তারা জেলা পরিষদকে জায়গা ভাড়া হিসেবে কত টাকা দিচ্ছে? তাছাড়া, মেলায় কি ধরনের পন্য বিক্রি হচ্ছে। বিক্রির উদ্দেশ্যে সাজানো পন্যর মান ও টেকসই নিয়ে রয়েছে নানা সন্দিহান।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad