চেক জালিয়াতির মামলায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের দুই কর্মকর্তার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Friday, March 10, 2023

চেক জালিয়াতির মামলায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের দুই কর্মকর্তার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

 


যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতির মামলার দুই আসামির স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল আমিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা জজ) শেখ নাজমুল আলম।

অভিযুক্তরা হলেন–যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চাকরিচ্যুত হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম ও প্রেস মালিক সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের শেখ শরিফুল ইসলাম। এ দু’জনকে জালিয়াতি ঘটনার মূল অপরাধী আখ্যায়িত করেছে দুদক। এ দু’জনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর দুদকের দায়ের করা মামলায় ৩৮টি চেক জালিয়াতি করে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

দুদকের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল ইসলাম জানান, আদালত আসামিদের উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন। আদালতের এই আদেশের নোটিশ সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, যাতে আসামিরা সম্পত্তি বিক্রি এবং ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে না পারেন।



আদালতে দুদকের করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে দেখা যায়, মামলার ৩ নম্বর আসামি আব্দুস সালাম ও ৪ নম্বর আসামি শেখ শরিফুল ইসলাম এ মামলার মূল অপরাধী। তাঁরা জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ওই সম্পদ ক্রোক করা না হলে বেহাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্ণিত স্থাবর সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক ও আলোচ্য মামলার সংযোগপ্রাপ্ত অস্থাবর সম্পদ/ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

আবেদনে সম্পদের বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে– আব্দুস সালামের যশোর হাউজিং এস্টেটের অধীন ই-ব্লক ১৪১ নম্বরের নির্মাণাধীন চার তলা বাড়ি। শহরের বেজপাড়ায় আব্দুস সালামের স্ত্রী রিক্তা খাতুনের নামে দশমিক ৪৯৭ শতাংশ এবং অপর আসামি শেখ শরিফুল ইসলামের নামে দশমিক ৪৯৭ শতাংশ জমি ও সেখানে নির্মাণাধীন বাড়ি। শরিফুলের সদরের চাঁচড়া ইউনিয়নে ২০ শতক এবং সদরের নওয়াপাড়া ইউনিয়নে ৬ শতক জমি রয়েছে। আরও বলা হয়েছে, শরিফুল ও সালামের নিজেদের ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন হিসাবে টাকা জমা রয়েছে।

দুদকের দায়ের করা চাঞ্চল্যকর ওই মামলায় আব্দুস সালাম ও শরিফুল ইসলাম ছাড়াও যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমির হোসেন, তৎকালীন সচিব প্রফেসর এএমএইচ আলী আর রেজা ও যশোর নতুন উপশহর এলাকার হাইকোর্ট মোড় জামরুলতলার শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলমকে আসামি করা হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad