উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) যশোর বোর্ডে পাশের হার ও জিপিএ প্রাপ্তির হারও গত বারের চেয়ে এ বছর কমেছে। যশোর বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় হার ৮৩. ৯৫ শতাংশ। গতবার ছিল ৯৮. ১১ শতাংশ। এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭শ’ ০৩ জন। যা গত বছর পেয়েছিল ২০ হাজার ৮শ’ ৭৮ জন।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হারে বিভাগের ১০ জেলায় শীর্ষে রয়েছে খুলনা জেলা। আর পাসের হার সবচেয়ে কম বাগেরহাট জেলায়।
৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ভারপ্রাপ্ত সমীর কুমার কুন্ডু সাংবাদিকদের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান। এই বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে ১ লাখ ৯শ’ ৪০ শিক্ষার্থী। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫শ’ ুিি৭২ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২২৮ টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯৮ হাজার ২শ’ ৬৯। পরীক্ষায় পাস করে ৮২ হাজার ৫শ’ ০১ জন।
এ বছর শতভাগ পাস করেছে ৩৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা এবং শতভাগ ফেল ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাশের হার শূন্য এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে কুষ্টিয়ার গোড় পাড়া হাজী নুর ইসলাম কলেজ, এই প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫ জন। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রাহাতুন্নেসা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে অংশ ৬জন জন শিক্ষার্থী, যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাউথ বেঙ্গল কলেজ থেকে অংশ নিয়েছিল ৩ জন, মাগুরার রাওতাড়া এইচএন সেকেন্ডারি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে অংশ নেয় ২ জন, নড়াইলের গোবরা মহিলা কলেজ থেকে অংশ নেয় ২জন এবং মাগুরার শিবরামপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল।
গত বছরের তুলনায় এ বছর পাশের হার কম হওয়ার কারণ হিসেবে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সমীর কুমার কুন্ডু বলেন, এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় বেশ কম, গতবার মাত্র তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছিল। এবার আইসিটি বাদে সকল বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে।
চলতি বছরের ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, সবচেয়ে আনন্দের সংবাদ এবার কোনও শিক্ষার্থীর ফলাফল উইথহেল্ড নেই। যশোর শিক্ষা বোর্ডে গতবারের মতো এবারও ফলাফলে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। এ বছরের পরীক্ষায় মেয়েরা অংশ নিয়েছিল ৪৮ হাজার ৮৬ জন। পাস করেছে ৪১ হাজার ৬শ’ ৮০ জন। মেয়েদের পাশের হার ৮৬ দশমিক ৬৮। জিপিএ-৫ পেয়েছ ১০ হাজার ৬শ’ ৮৯ জন। অপরদিকে, ছেলেদের ৫০ হাজার ১শ’ ৮৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪০ হাজার ৮শ’ ২১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ১৪ জন।
No comments:
Post a Comment