যশোরে নিখোঁজের সাত দিন পর এক কলেজছাত্রীর মরদেহ সহপাঠীর বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রীর সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে শার্শা থানার বুরুজবাগান এলাকার একটি সেফটিক ট্যাঙ্কের ভেতর ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কলেজছাত্রীর নাম জেসমিন আক্তার পিঙ্কি (১৮)। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কাউরিয়া কেরালকেতা এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে এবং যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আটক তরুণের নাম আহসান কবির অঙ্কুর বলে জানিয়েছে র্যাব-৬ এর কোম্পানি লেফটেন্ট্যান্ট কমান্ডার এম নাজিউর রহমান।
তিনি জানান, আটক তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
নাভারণ সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার নিশাদ আল-নাহিয়ান বলেন, শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ পিঙ্কির মৃতদেহটি তার এক সহপাঠী অঙ্কুরের বাড়িতে আছে। এ সময়ে চারদিক খুঁজে পাওয়া না গেলে পরে সেফটিক ট্যাঙ্কে মরদেহটি পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমের সম্পর্কে তাকে এখানে আনা হয়। পরে নির্যাতন ও হত্যার পর লাশ গুম করতে সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment