যশোর মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক জাকির হোসেনকে মারপিট করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৭ মেডিকেল ছাত্র ও ইন্টার চিকিৎসরে বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আহত জাকির হোসেনের ভাই রংপুর কাউনিয়ার হরিশ্বর গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ্জামানের ছেলে রেলওয়ের সাব এসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গির আলম বাদি হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম।
আসামীরা হলো, যশোর মেডিকেল কলেজের ৪র্থ ব্যাচের ছাত্র শামীম হোসেন, ৫ম ব্যাচের ছাত্র আবদুর রহমান আকাশ, ৬ষ্ঠ ব্যাচের ছাত্র মেহেদী হাসান লিয়ন, ৯ম ব্যাচের ছাত্র শাকিব আহমেদ তনিম, সৌম্য সাহা, ১০ম ব্যাচের ছাত্র তন্ময় সরকার ও ৭ম ব্যাচের ছাত্র রাসেল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জাকির হোসেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তার ও কলেজের হোস্টেলের ১০৫ নং কক্ষের বাসিন্দা। আসামীরা প্রায় জাকির হোসেনের পাশের রুমে মাদক সেবন ও হৈ-চৈ করতো। এতে পড়াশুনার অসুবিধা হওয়ায় জাকির হোসেন প্রতিবাদ করায় তাকে খুন জখমের হুমকি দিয়েছিলো আসামিরা। গত ৩১ জানুয়ারি ১০২ নং কক্ষে আসামীরা গাঁজা সেবন করে হৈ-চৈ করছিলো। এসময় জাকির তাদের হৈ-চৈ করতে নিষেধ করেছিল।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাত পৌনে ৯টার দিকে আসামীর জাকির হোসেনের রুমে হামলা করে। আসামি রাসেলের নির্দেশে অন্যরা জাকির হোসেনকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করে এবং তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল, কাগজপত্র ও চাবি নিয়ে যায়। জাকিরের চিৎকারে আশে পাশের রুমের আবাসিক ছাত্ররা এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনার পর জাকিরের স্বজনেরা কোতয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
No comments:
Post a Comment