যশোরে ছয়দিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে। প্রথমা প্রকাশনের আয়োজনের আজ মঙ্গলবার বিকালে যশোর ইনস্টিটিউট পাঠকক্ষে সপ্তমবারের মত এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘বইপড়া ভালো কাজ। এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আদিকালে বই পড়া কঠিন কাজ ছিলো। কিন্তু সেটা খুব এখন সহজ হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখন পাঠক নেই। পাঠ্যবইও এখন শিক্ষার্থীরা পড়ে না। অনেক শিক্ষকও পাঠ্যবই পড়ে শ্রেণীকক্ষে যান না। দেশে যথেষ্ট লাইব্রেরি আছে। কিন্তু পাঠকের অভাব।’
তিনি বলেন, ‘দেশে যতগুলো মেলা হয় তারমধ্যে সবচেয়ে ভালো মেলা হচ্ছে বইমেলা। প্রথম প্রকাশন এই ভালো মেলাটির আয়োজন করে যাচ্ছে। এজন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।’
এ বছরের শেষ দিকে যশোর টাউন হল মাঠে বড় পরিসরে বইমেলা আয়োজনের ঘোষনা দেন জেলা প্রশাসক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোরের সভাপতি সুকুমার দাস, শহরের ডা. আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জেএম ইকবাল হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, লেখক গবেষক ও সাংবাদিক সাজেদ রহমান, যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ, প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ও বাচিক শিল্পী সাধন কুমার দাস।
প্রথমা প্রকাশন ও দেশি-বিদেশি বইয়ের বিশাল সমাহার নিয়ে মেলা শুরু হয়েছে।
প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে। আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলা থেকে বিশেষ ছাড়ে বই কেনার সুযোগ রয়েছে। প্রথমা প্রকাশনের বই ৩০ থেকে ৬০ ও অন্যান্য প্রকাশনীর বই ২৫ শতাংশ ছাড়ে কেনা যাচ্ছে। এছাড়া ভারতীয় বইয়ের ক্ষেত্রে এক রুপির বিপরীদে এক টাকা ৫০ থেকে ৮০ পয়সা দরে কেনা যাচ্ছে।
প্রতি বছর যশোরে প্রথমা প্রকাশনের পক্ষ থেকে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় এ বছরও ছয়দিনের মেলায় গুণী লেখকদের বিভিন্ন বইয়ের পসরা সাজানো হয়েছে। মেলায় গিয়ে এসব বই দেখা ও কেনা যাবে।
No comments:
Post a Comment