যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটের সামনে থেকে একটি ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধির মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের ৩দিন পর থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়।
মাগুরা জেলার শালিখা থানার নাঘোসা গ্রামের বর্তমানে যশোর শেখহাটি বাবলাতলা গোলাম মোস্তফার বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল হোসেন বিশ^াসের ছেলে মনিরুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি একটি ঔষধ কোম্পানীর সিনিয়র মেডিকেল প্রমোশন অফিসার পদে চাকুরী করেন।
কোম্পানীর একটি ডিস কভার ১১০ সিসি মোটর সাইকেল ( ঢাকা মেট্টো হ-৬৫-৩৬৬৮) তিনি কোম্পানীর কাজে ব্যবহার করেন। ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমান ৭ টা ২০ মিনিটে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটের সামনে মোটর সাইকেল রেখে ঘাড় লক করে বাইরে ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার ভিজিট করতে যান। ভিজিট শেষে সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিটের সময় করোনারী কেয়ার ইউনিটের সামনে এসে দেখেন তার রাখা মোটর সাইকেলটি নেই।
সংঘবদ্ধ চোরেরা চুরি করে সটকে পড়ে। তিনি বিষয়টি কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার, সহকর্মীসহ কোম্পানীর অনেককে জানিয়ে হাসপাতালের আশে পাশেসহ যশোর শহরের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। না পেয়ে ওই রাতে থানায় অভিযোগ করেন। থানা পুলিশ তদন্তর নামে অভিযোগ পত্রটি ফেলে রাখে। পরবর্তীতে মামলার বাদি খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবরও চুরির মামলা হয়নি।
তিনি দেনদরবার করার পর ২৯ অক্টোবর রাতে চুরি মামলা রুজু করা হয়। তবে চুরির পর ৪ দিন পার হলেও জড়িত কাউকে গ্রেফতার বা চুরি হওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চুরি হওয়ার সাথে সাথে থানায় জানালেও থানা পুলিশ তদন্তর নামে ওই অভিযোগ রেখে একজন অফিসারকে তদন্তের নামে পরের দিন দায়িত্ব দেন। ওই অফিসার তদন্তের সুযোগ হলে বিষয়টি দেখতে যান কখনও আবার সময় না হলে এসআইয়ের ফাইলে বন্দি হয়ে পড়েন। তারপর বাদি তদবির করলে মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়।
No comments:
Post a Comment