কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ জানায়, শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯ টায় গোপন সূত্রে খবর যশোর শহরের পুরতান কসবার ইজিবাইক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন আলম হত্যা মামলায় ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার পিয়ারুজ্জামান পিরুসহ ৪ জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালাউদ্দিন খান।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, যশোর শহরের পুরতান কসবা কাজীপাড়ার শহিদুল কাঠ মিস্ত্রির ছেলে সোহান হোসেন, ফারুকের ছেলে আজিজুর রহমান ওরফে আইজুল, মৃত লোকমান শেখের ছেলে বাবলু শেখ, কাজীপাড়া গোলামপট্টির শেখ রবিউল ইসলাম রবির ছেলে ইমরুল কায়েস রুমন, মৃত বাশার মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান বাবু, রতন আলী শ্বিাসের ছেলে ইকরামুল বিশ্বাস ও পুরতানকসবা ব্রিজের দক্ষিন পাশের চ লের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত শেখ সুলতানের ছেলে শাওন আহম্মেদ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ইজিবাইক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন আলমের ভাই কোরবান আলী পচাকে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আসারিমা নিহতের পরিবারের উপর ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। নিহত পচার পরিবার এ মামলা প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনার জের ধরে চলতি বছরের ২৪ মার্চ বিকেলে শহরের পুরাতন কসবা গোলামপট্টিতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হন নিহত পচার ভাই ইজিবাইক ব্যবসায়ী আলম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ মার্চ ভোরে আলম মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মুরাদ বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার পিয়ারুজ্জামান পিরু, আমিরুল. সোহাগ ও রনি ওরফে কাজী হায়াতুজ্জামান রজিবের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান ও ইকরামুল বিশ্বাসকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment