যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে স্ত্রীর প্রথম পক্ষের স্কুল পড়–য়া মেয়েকে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন এক স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ঈদুল আজহার দিন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাহাদুরপুর বাঁশতলার বাসিন্দা ইতি খাতুন। বিবাদীরা হলেন, স্বামী বাগেরহাটের সুন্দঘোনা গ্রামের ইনাম সাইদ খোকনের ছেলে ইসমত সাঈদ হৃদয়, হৃদয়ের মামা খন্দকার মিঠু, দুই খালা শামীমা আক্তার লাবনি ও লোপা এবং নানা খন্দকার মনিরুজ্জামান।ইতি খাতুন জানান, প্রথম স্বামীর ঘরে তার দুই মেয়ে রয়েছে। স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছিন্নের পর তিনি খুলনায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন হৃদয়। এসময় তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০১৮ সালে হৃদয়কে বিয়ে করেন । পরে তার গর্ভে সন্তান আসে।
কয়েকদিন পর তিনি যশোরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। হৃদয়ের ওরশে তার আরও এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সেখানে তার পূর্বের ঘরের বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়া খাতুন ও ছোট মেয়ে রিয়াও থাকতেন। হৃদয়ও সেখানে মাঝে মাঝে আসতেন। গোপনে এ সময় হৃদয় প্রিয়াকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতে থাকে। মেয়ে তাতে রাজি না হওয়ার নানা ধরণের হুমকি দিয়ে দেয় হৃদয়। এরমাঝে ঈদের দিন যশোরে আসে হৃদয়। বাড়িতে থাকা ৮০ হাজার টাকা নিয়ে প্রিয়া খাতুনকে নিয়ে চম্পট দেয় হৃদয়।
ইতি খাতুন আরও জানান, হৃদয়ের শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বারবার তাকে এ বিষয় থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়। কিন্তু হৃদয় কোনো কিছুই না শুনে মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। এখন অজ্ঞাত স্থানে থেকে মোবাইলে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে জানান ইতি খাতুন।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই তুহিন বাওয়ালী জানান, তদন্তে উঠে এসেছে হৃদয় নিজেই প্রিয়াকে নিয়ে বিয়ে করেছে বলে জানতে পেরেছেন। কিন্তু কোথায় তারা রয়েছে সেটা সনাক্ত করা সম্ভাব হয়নি। তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন বলে জানান।
No comments:
Post a Comment