এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলায় সন্ত্রাসী দ্বারা বারবার জখম এবং বর্তমানে হত্যার হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তিনি। এর অংশ হিসেবে চিনেটোলা বাজারের অবৈধ ফুটপাত ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড সরিয়ে দিয়েছেন। এই বাজার থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির ও তার চাচা আব্দুল হালিমসহ কতিপয় ব্যক্তি মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন বলে দাবি করেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
এছাড়া,এসআই হান্নান ও ডিএসবির সাইফুল স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিতে পরোক্ষভাবে সহায়তা করতেন। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় তিনি চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের শত্রু হয়ে যান। বর্তমানে সুন্দর পরিবেশে বাজার কার্যক্রম পরিচালনা করায় এলাকার চাঁদাবাজরা সবাই তার বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে বিভিন্ন সময় হামলা করে। চেয়ারম্যান হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সন্ত্রাসী দ্বারা চারবার হামলার স্বীকার হয়েছেন বলে দাবি করেন আলমগীর হোসেন। গত ১১ জুলাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এলাকাবাসীর সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ খবর আসে সাবেক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা করতে পারে। এ আশঙ্কায় মণিরামপুর থানার ওসি নূর আলমকে বিষয়টি অবহিত করে সাহায্য চান তিনি। কিন্তু দু’ঘণ্টা পার হলেও পুলিশ তাদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি। এক পর্যায়ে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাত সাড়ে আটটায় মুজগুন্নী গ্রামের মুনছুর মোড়ে পৌঁছালে সাবেক চেয়ারম্যান আমিনপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মনির, আব্দুল হালিম, আব্দুল বারেক, আমিনুর রহমান, মুগুন্নি গ্রামের বাবুল আক্তার, রেজাউল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মিজান সহ ৬০ থেকে ৭০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর চড়াও হয়।
No comments:
Post a Comment