যশোর সদর উপজেলার ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের মেহগুনি বাগান থেকে উদ্ধার করা নর কংকালটি বিল্লাল হোসেন মিয়াদ (২৮) নামে এক ব্যাটারি চালিক অটো রিকশা চালকের। এমন দাবিতে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন মিয়াদের স্ত্রী শারমিন (২২)। কংকালের সাথে উদ্ধার পুরনো লুঙ্গী দেখে চিনতে পেরে শারমিনের ধারনা ওই নর কংকালটি তার স্বামীর।
এজাহারে শারমিন উল্লেখ করেছেন, বিল্লাল হোসেন মিয়াদের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ছোট বাদুড়া গ্রামে। ২০১২ সালে মিয়াদের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যশোর সদর উপজেলার পাগলাদাহ গ্রামের মাঠপাড়ার গ্রামের স্বামী, সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। তার স্বামী মিয়াদ অটো রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ২১ জুন বিকেলে ৫টার দিকে রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মিয়াদ। এরপর অনেক রাত হলেও বাড়িতে না ফেরায় তিনি মোবাইলে কল করেন। কিন্তু ফোন বন্ধ পান। অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন ২২ জুন কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করেন তা মা রেনু বেগম। জিডির কপি তিনি যশোরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অফিসে জমা দেন। পিবিআই এর এসআই ডিএম নুর জামাল জিডিটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি নিখোঁজ মিয়াদের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। কিন্তু তাতে সীমকার্ড ছিলো না।
গত জুলাই সদর উপজেলার ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের রেজাউলের মেহগুনি বাগানের মধ্যে থেকে একটি নর কংকাল উদ্ধার করে কোতয়ালি থানার পুলিশ। কংকালের সাথে পরনের কাপড়ও উদ্ধার করা হয়।
গত ১৬ জুলাই তাকে (শারমিন) ফোন করে পিবিআই অফিসে যেতে বলা হয়। এবং তিনি সেখানে গেলে তাকে কোতয়ালি থানায় নেয়া হয়। এবং ক্ষিতিবদিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার নর কংকালের সাথে পরিহিত লুঙ্গী তাকে দেখানো হয়। ওই লুঙ্গী দেখে তিনি লুঙ্গীটি তার স্বামীর বলে সানাক্ত করেন। তার ধারনা মেহগুনি বাগান থেকে উদ্ধার করা নর কংকালটি তার স্বামীর। ঘটনার রাতে অজ্ঞাত ছিনতাইকারীরা তার স্বামীকে হত্যা করে অটো রিকসাটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। লাশ মেহগুনি বাগানের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। যা পরবর্তীতে শিয়াল কুকুড়ের খাদ্যে পরিনত হয়েছে এবং পঁচে, গলে কংকাল হয়ে গেছে।
No comments:
Post a Comment