যশোর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক প্রয়াত রিপন হোসেন ওরফে দাদা রিপন হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন এলাকাবাসী। এরআগেও একাধিকবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলণ করা হয়। দীর্ঘ ১৩ বছর পরও চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন । সোমবার প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দাবি করে মামলার প্রধান আসামি আরবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলামের ফাঁসির দাবি জানান। মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, আরবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলামের ইন্ধনেই ছাত্রলীগ নেতা দাদা রিপনকে খুন করা হয়েছে। শাহারুলই দীর্ঘদিন ধরে মামলাটির স্বাভাবিক কার্যক্রম চেপে রেখেছেন। মামলাটির স্বাভাবিক গতি থাকলে এতোদিন স্বজনেরা ন্যায় বিচার পেতেন। যেকারণে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় স্বজনরা চরমভাবে হতাশ হচ্ছেন। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে দাদা রিপন হত্যা মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রধান আসামি শাহারুল ইসলামের ফাঁসি দাবি করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ সরদার, আরবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আলী, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য শিমুল সরদারসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৪ মার্চ রাতে সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের রঘুরামপুরে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা দাদা রিপন। ওই ঘটনায় তার পিতা শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল ইসলামসহ ৮ জনকে আসামি করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর হত্যাকান্ডে দীর্ঘ ৩ বছর পর ২০১৩ সালে পুলিশ এ মামলায় শাহারুলকে অভিযুক্ত করে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।
এদিকে ২০১৩ সালে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিলেও এখনও পর্যন্ত মামলার কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ বা বিচার শুরু হয়নি। মামলার এ দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
এদিকে, স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়, আরবপুর ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান মীর আরশাদ আলীর মৃত্যুর পর চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে প্রার্থী হতে কয়েকজন জোড়ালো প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। সূত্রটি দাবি করে, আসন্ন উপ নির্বাচনকে সামনে রেখে শাহারুলকে ঘায়েল করতে প্রতিপক্ষরা এসব কর্মসূচির ডাক দিচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment