যশোরে স্কুল প্রাঙ্গণে মাদক বিকিকিনির প্রতিবাদ করায় নাইটগার্ডকে বেধড়ক মারপিট ও জখমের অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামে। মামলা হওয়ার পর উল্টো আসামিরা হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নাইটগার্ডসহ তার পরিবার। ঘুরছেন এ দপ্তর থেকে সে দপ্তরে।
ঘুরুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাইটগার্ড মনিরুল ইসলাম জানান,স্কুল প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরুলিয়া গ্রামের বজলু বিশ্বাসের ছেলে পিয়াল হোসেন ও কাশেম বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল আলম আশা মাদক সেবন ও বিক্রি করছেন। এটি করতে নিষেধ করলেও তারা তা শোনেননি। একপর্যায়ে তিনি এ বিষয়ে তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। এর পরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে মনিরুল ইসলামকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে জখম করেন তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় গত ১০ মার্চ মনিরুলের বোন মনিয়ারা ইয়াসমিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ ব্যবস্থা না নেয়ায় আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছেন পিয়াল ও আশা। আসামিরা মনিরুলকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মাসুম খান বলেন, স্কুল প্রাঙ্গণে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনার বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
No comments:
Post a Comment