যশোর জেনারেল হাসপাতালে নতুন বিড়ম্বনার নাম অ্যাম্বুলেন্স। এ চত্বরটি এখন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। জরুরি বিভাগের সামনেসহ গোটা হাসপাতাল চত্বরে সারি সারি রাখা হয় কমপক্ষে দেড় ডজন অ্যাম্বুলেন্স। এসব গাড়ির চালকরা রোগী ও তাদের স্বজনদের রীতিমত নাজেহাল করে চলেছেন। অথচ অবৈধ এ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে কর্তৃপক্ষের নেই কোন পদক্ষেপ।সরেজমিন রোববার দুপুর দু’টায় জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে দেখা যায়, ১৪টি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল চত্বরে পার্কিং করা রয়েছে। এসব গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছেন চালকরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বর্হি: বিভাগ, করোনারি কেয়ার ইউনিটের সামনে, প্রশাসনিক বিভাগ ও সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে এসব অ্যাম্বুলেন্স সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে রয়েছে। এসব গাড়ির চালকদের টার্গেট হাসপাতালের রোগীরা। কোন ব্যক্তি মালামাল হাতে নিয়ে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে আসলেই তাদেরকে ঘিরে ধরছেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। তাদের গাড়ি ভাড়া করে যাবার জন্য পীড়াপীড়ি শুরু করেন। এক্ষেত্রে তারা সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা যশোর জেনালের হাসপাতাল চত্বরে এ অবস্থা বিরাজ করছে। আর এ চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে গত তিন মাসের অধিক সময় আগে। কিন্তু তাদের বাধা দিতে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি অবৈধ অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড উচ্ছেদেও কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নেই। ফলে দিনকে দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন এসব গাড়ির চালক। তারা রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে অশোভন আচরণ করতেও দ্বিধা করছেন না। যা নিয়ে হাসপাতালে আগত মানুষের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। অথচ গত দু’বছর আগে হাসপাতাল চত্বরে কোন বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে পারতো না। ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এসব গাড়ির চালকদের জরিমানা পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি উল্টে গেছে। অ্যাম্বুলেন্স জট লেগে থাকছে হাসপাতাল চত্বরেই।
সোমবার দুপুর ১টায় হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা শার্শার নাভারণ এলাকার মশিয়ার রহমান বলেন, ‘বেডিংপত্র নিয়ে ওয়ার্ড থেকে বাইরে বেরিয়েই বিপদে পড়েছি। অ্যাম্বুলেন্স চালকরা আমাদের সবাইকে ঘিরে ধরেছে। অবস্থা এই রকম দাড়িয়েছে, তাদের গাড়িতে না গেলে আমাদেরকে হাসপাতাল থেকে বের হতে দেবে না। পরবর্তীতে কমপক্ষে দশজন চালকের সাথে দেন দরবার করে তাদেরকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স চালকরা তাদের কাছে দ্বিগুন ভাড়া দাবি করেছে। প্রকৃত ভাড়ায় কেউ যেতে চায়নি।’ এ কাজে তারা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে বলে তিনি দাবি করেন। তার দ্বিগুন ভাড়া দেবার মত অবস্থা না থাকায় তিনি শেষমেষ বাসযোগে বাড়ি ফিরবেন বলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, গুরুতর অসুস্থ রোগীরা সাধারণত জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও খুলনায় পাঠানো হয়। এ কাজে রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন হয়। স্বজনরা যাতে অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে পেতে দুর্ভোগে না পড়েন সে জন্য তারা হাসপাতাল চত্বরেই কয়েকটি গাড়ি রাখেন। তারা স্বাভাবিকভাবে রোগীদের সাথে কথা বলেন। কখনো বিরক্ত করেন না বলে দাবি করেন।
সোমবার দুপুর ১টায় হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা শার্শার নাভারণ এলাকার মশিয়ার রহমান বলেন, ‘বেডিংপত্র নিয়ে ওয়ার্ড থেকে বাইরে বেরিয়েই বিপদে পড়েছি। অ্যাম্বুলেন্স চালকরা আমাদের সবাইকে ঘিরে ধরেছে। অবস্থা এই রকম দাড়িয়েছে, তাদের গাড়িতে না গেলে আমাদেরকে হাসপাতাল থেকে বের হতে দেবে না। পরবর্তীতে কমপক্ষে দশজন চালকের সাথে দেন দরবার করে তাদেরকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স চালকরা তাদের কাছে দ্বিগুন ভাড়া দাবি করেছে। প্রকৃত ভাড়ায় কেউ যেতে চায়নি।’ এ কাজে তারা সিন্ডিকেট তৈরি করেছে বলে তিনি দাবি করেন। তার দ্বিগুন ভাড়া দেবার মত অবস্থা না থাকায় তিনি শেষমেষ বাসযোগে বাড়ি ফিরবেন বলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, গুরুতর অসুস্থ রোগীরা সাধারণত জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও খুলনায় পাঠানো হয়। এ কাজে রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন হয়। স্বজনরা যাতে অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে পেতে দুর্ভোগে না পড়েন সে জন্য তারা হাসপাতাল চত্বরেই কয়েকটি গাড়ি রাখেন। তারা স্বাভাবিকভাবে রোগীদের সাথে কথা বলেন। কখনো বিরক্ত করেন না বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে যশোর আড়াইশ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আকতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তার নজরেও এসেছে। এ নিয়ে তিনি হাসপাতালের কর্মকর্তা ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সাথে বৈঠক করেছেন। কিন্তু পুলিশ ওই দায়িত্ব পালনে সম্মত হচ্ছেন না। ফলে এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে বৈঠক করবেন বলে জানান।
No comments:
Post a Comment