যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে সকল বন্দিরা মানবতার জীবন যাপন করছে বলে জানিয়েছেন সদ্য জামীনে মুক্তি পাওয়া এক যুবক। গত ৩ মার্চ থেকে সারা বাংলাদেশে সাক্ষাৎ চালু হবার পর থেকে যশোর কারাগারে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয় কারাগারের জেল সুপার ইকবাল কবীর। এছাড়া ৩/৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ফোন চালু করে।
কিন্তু শর্ত প্রযোজ্য এইযে, যে সকল আসামী সাক্ষাৎ করভে তারা কোনো প্রকার মোবাইল সুবিধা পাবেনা।
এ ঘটনার পর সকল বন্দীগণ একত্রিত ভাবে জেল সুপার ইকবাল কবীরের কাছে মোবাইল সুবিধার জন্য অনুরোধ করলে জেল সুপার ক্ষুব্ধ হয়ে বন্দীদের হুমকির মুখে রাখে এবং শারীরিক নির্যাতনের ও সেলে বন্দী করার ভয় দেখায়।
অন্যদিকে সারা বাংলাদেশে সকল কারাগারে সাক্ষাৎ মাসে ২ বার এবং মোবাইল মাসে ৪ বার অর্থাৎ সপ্তাহে ১ বার করে স্বাভাবিক নিয়মে চলে আসছে, শুধু যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এই অনিয়ম চলছে।
কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে মজলুম এই বন্দী মানুষগুলো পড়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষের সাজানো ফাঁদে। বন্দী জীবনের এই দূর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে জেল সুপার ও জেলার এবং তাদের সাহায্য করছে দুই আইজি, সি আইডি রাকিব এবং মিজান।
অবৈধভাবে মোবাইলে কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে এবং প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার অবৈধ টাকা।
এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে খুবই দ্রুত কারাগারে বিশৃংখলা সৃষ্টি হতে পারে এবং তা নিতে পারে ভয়াবহ রুপ।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ভেতরের এইসব অনিয়ম জানিয়েছেন সদ্য জামীনে মুক্তি পাওয়া এক যুবক।
No comments:
Post a Comment