যশোর সদর উপজেলার দাইতলা খাল থেকে টেন্ডার ছাড়ায় মাটিবিক্রির প্রতিবাদ করায় এবার এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে দোকান ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে ফতেপুর ইউনিয়নের নালিয়া বাজারে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তোভুগি ব্যবসায়ী এমামুল হোসেন।
এদিকে, টেন্ডারের আগেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাটি বিক্রির বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি পরিস্কার হচ্ছে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।নালিয়া বাজার ব্যবসায়ীরা জানায়, রোববার দুপুরে নালিয়া বাজার দিয়ে দ্রুত গতিতে একটি মাটিভর্তি ট্রাক যাচ্ছিল। এসময় ব্যবসায়ী এনামুলের দোকানের ক্ষতি হয়। অল্পের জন্য এনামুল রক্ষা পান। পরে এনামুল এসে ট্রাক চালক দাড়াতে বলে। কথা কাটাকাটি হয়। পরে ট্রাক ড্রাইভার যেয়ে ওই এলাকার টিপুকে ঘটনাটি জানায়। এরপর টিপুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এসে এনামুলকে মারপিট করে। দোকান ভাঙচুর করে। অন্য ব্যভসায়ীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লাঞ্চিত করে। এক পর্যায় প্রকাশ্যেই প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পর নালিয়া বাজারের সব দোকান বন্ধ করে রাস্তায় বাশের ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে ব্যবসায়ীরা । রাস্তায় আগুন জালিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। সারাদিন তারা দোকান বন্ধ রাখেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের দাবি জানান।
দাইতলা খালের সরকারী মাটি টেন্ডারের আগে ওই এলাকার খাইরুল-মিল্টন চক্র বিক্রি করে আসছে। প্রতিদিন শ’শ’ ট্রাক সকালথেকে সন্ধা পর্যন্ত মাটি বিভিন্ন গ্রামে বিক্রি করছেন। এতে করে আশপাশ গ্রামের বিভিন্ন রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে গ্রামেরকাগজে সরেজমিনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। তবে, রহস্যজনকভাবেই নিরবতা পালন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয়রা বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা এ মাটি চুরির সাথে জড়িত। তাদের সাথে আতাত করেই চক্রটি মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাটি বিক্রির বিষয়টি নিয়ে সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে তারা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে চাঁনপাড়া ফাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএসআই শরিফুল জানান, খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে যান। দুই পক্ষের সাথে কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত টিপুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে রাতে মীমাংশা হয়েছে। মাটি বিক্রির বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, মাটি বিক্রির সাথে তিনি একাই নয়, ওই এলাকার অনেকেই জড়িত রয়েছেন।
স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে চাঁনপাড়া ফাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএসআই শরিফুল জানান, খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে যান। দুই পক্ষের সাথে কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত টিপুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিয়ে রাতে মীমাংশা হয়েছে। মাটি বিক্রির বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, মাটি বিক্রির সাথে তিনি একাই নয়, ওই এলাকার অনেকেই জড়িত রয়েছেন।
স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
No comments:
Post a Comment