যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১০ কর্মচারীকে কৈফিয়ত তলব করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাক্তার শামিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হাসপাতালে পৌঁছেছে। যার স্মারক নম্বর-০৪/২০২২/৪৩৯।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন ডাক্তার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। যার স্মারক নং-শা-০১/২১/২৫৩২/৫ (২৩)। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি ওই ১০ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ইন্টার্ন ডাক্তার সোহানুর রহমান সোহান, শাহাজাদ জাহান দিহান ও নাফিম ফাহমিদকে মারপিটের ঘটনায় দোষী প্রমাণিত করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর তত্ত্বাবধায়ক ২৬ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ধারায় ‘অসদাচরণের দায়ে কর্মচারী শাহজাহান আলী, দীপক রায়, নুরুজ্জামান, মৃত্যুঞ্জয় রায়, জহুরুল ইসলাম, রতন কুমার সরকার, তপন, মেহেদী, শরিফুল ও জিল্লুর বিরুদ্ধে কেনো বিভাগীয় মামলু রুজু করা হবে না, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর দুপুর দুটোর দিকে হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তার সোহানুর রহমান সোহান এক্সরে করার জন্য যান। ওই সময় সেখানে দায়িত্বরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মেহেদি তাকে অপেক্ষা করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডাক্তার সোহানুর রহমান সোহান এক্সরে বিভাগ থেকে বের হয়ে যান। পরে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও ইন্টার্ন ডাক্তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চরম আকার ধারণ করে। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি স্লোগান।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চিঠি পেয়েছেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ১০ কর্মচারীকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment