পহেলা ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে উৎসবে মাতে যশোরের হাজারো মানুষ। সকাল থেকেই বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের আগমন ঘটে। তবে, দুপুরের পরে ঢল নামে। বিশেষ করে পৌরপার্ক ছিল লোকে লোকারণ্য। বিভিন্ন বয়সী মানুষ আসে আনন্দ ভাগাভাগি করতে। এই আনন্দ শেষ অবধি উদ্বেগে রূপ নেয়। প্রায়সব বিনোদন কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত। ফলে, করোনার মহামারিতে ঝুঁকিতে পড়েন বিভিন্ন বয়সী মানুষ।সূর্য ডোবার পরও শহরে মানুষের ভিড় ছিল। এ কারণে অনেক সড়কে ছিল যানজট। রাত হওয়ার সাথে সাথে এই ভিড় কমতে থাকে। আটটার কিছু আগে পরে খালি হয়ে যায় শহর।
একসাথে দু’টি দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন সংগঠন। সোমবার পৌরপার্কে অনুষ্ঠিত হয় রক্তদান উৎসব। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, উৎসব কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও আমার যশোর এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।
সকাল এগারটায় পৌরমেয়র হায়দার গনি খান পলাশ রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মেয়রের ছোট ছেলে ফাতেহ্ গনি খান সৌমিকের রক্তদানের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় যুবসমাজের প্রতি রক্তদানের মতো মহতী কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মেয়র।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যশোরের সেক্রেটারি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অধ্যাপক সুকুমার দাস, সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ, আইডিবির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, রওশন আরা রাসু ও আমার যশোরের সভাপতি অজয় দত্ত।
এদিকে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসি মুখের উদ্যোগে পৌরপার্কে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। সকাল আটটা হতে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তিন শতাধিক মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে সংগঠনটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ফারহান কাশেম অয়ন, সহসভাপতি আহনাফ শাকিল, সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন হাবিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ান্তি অতিথি, দপ্তর সম্পাদক মেজবাউর রহমান, সহদপ্তর সম্পাদক আছিয়া খাতুন জেমিম, প্রচার সম্পাদক আফছানা মীম, সহ অর্থ সম্পাদক আরিয়ান প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment