যশোর শহরের রেলেস্টেশন এলাকার আবাসিক হোটেল শাহনাজের মধ্যে শিশুসহ ভাই বোনকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি এবং টাকা ও মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন, যশোর সদর উপজেলার বুসন্দিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ খানের ছেলে মহিবুল ইসলাম সাগর।
আসামিরা হলো, যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার আলী মিয়ার ছেলে মেহেদী (২৭), বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার কানা বাবুর ছেলে সুমন ওরফে টেটু সুমন, বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার অভি এবং ষষ্ঠীতলা পাড়ার মোস্তাকের বাড়ির সামনে মনির ছেলে আকাশ। এছাড়া আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন রয়েছে।
এজাহারে মহিবুল ইসলাম সাগর উল্লেখ করেছেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি তার খালাতো বোন রিতা পারভীন ও ভাগ্নি নুসরাতকে (২) ডাক্তার দেখানোর জন্য যশোর শহরে আসেন। আদ্ব-দীন হাসপাতালে যাওয়ার পথে যশোর রেলবাজার মোড়ে পৌঁছানোর পর বৃষ্টি শুরু হয়। রিতা পারভীনের মেয়ে দুধ পানের জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে বেলা পৌনে ১২ টার দিকে আবাসিক হোটেল শাহনাজ হোটেলের সামনে পৌছান। সে সময় আসামিরা তাদের গতিরোধ করে তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক তা জানতে চায়। তারা পরিচয় দিলেও আসামিরা নানা প্রশ্ন করতে থাকে। পরে তাদের আবাসিক হোটেল শাহনাজের ভিতরে নিয়ে যায়। হোটেলের ১০৭ নম্বর কক্ষে নিয়ে তাদের আটকে রেখে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিয়ে রুম থেকে বের হতে পারবে না বলে হমকি দেয়। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিট করে এবং তার কাছ থেকে নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও সাড়ে ১১ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। পরে তিনি কৌশলে হোটেল থেকে বের হয়ে পুলিশে খবর দেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ হোটেলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। অবশ্য তার আগেই আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে শুনে পুলিশ চার আসামির পরিচয় পায়।
No comments:
Post a Comment