যশোরের চুড়ামনকাটিতে এক যুবককে অপহরণ করে চাঁদা আদায় ও চাঁদার বাকি টাকা না দিলে হত্যার হুমকির অভিযোগে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে রক্সিকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এঘটনায় নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তুলাপাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ মরা মানিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে হাবিবুর রহমান, ছাতিয়ানতলা গ্রামের শুভ ও চুড়ামনকাঠি গ্রামের সুলতান।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তার ভাতিজা নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তুলাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে শাকিল আহম্মেদ বারীনগর গ্রামের আলতাফ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকে। শাকিল ওই এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে মানুষকে কোরআন শিক্ষা দেন। গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে শানতলা গ্রামের ফারুক হোসেনের বাড়িতে কোরআন শরীফ পড়াচ্ছিলেন। দুপুর তিনটার সময় আসামি হাবিুবুর, শুভ ও সুলতান ওই বাড়িতে যেয়ে বাদীর ভাতিজাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত জায়গায় আটকে রাখে। পরে আসামিরা জানায় ওই এলাকার একটি মেয়ের সাথে শাকিলের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। ওই মেয়েটি এখন গর্ভবতী। এ বিষয়টি মীমাংশার জন্য আসামিরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে ও টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায় আসামিরা বাদীর কাছে মোবাইল করেও একই দাবি জানান। ভয়ভীতি দেয়ায় বাদী আসামিদের দেয়া মোবাইল নাম্বারে ১০ হাজার টাকা পাঠায়। বাকি টাকা না দেয়ায় আসামিরা শাকিলকে আসামি শুভর বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে শাকিলকে আসামি রক্সির অফিসে নিয়ে যায়। পরে রক্সি চাঁদার বাকি টাকার জন্য শাকিলকে হুমকি ধামকি দেয়। টাকা না দিলে মোটরসাইকেল আটকে রাখা সহ হত্যার হুমকি দেয় রক্সি। এরমধ্যে বাদী নাটোর থেকে যশোরে পৌঁছে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। পুলিশ অভিযানে নামে। পুলিশ শাকিলকে উদ্ধার করে একই সাথে রক্সিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। মঙ্গলবার আদালতে শাকিল জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহন করে চাঁচার জিম্মায় প্রদান করেন ও আটক রক্সিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে রক্সি এলাকায় নানা ধরণের অপরাধমুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। বিশেষ করে বাবা নৌকা প্রতিক পাওয়ার পরথেকে তার আচরণ ভয়ানক হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
No comments:
Post a Comment