সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ - Jashore Tribune

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

as

a1

Thursday, February 10, 2022

সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ


 সাংবিধানিক পদধারী ব্যক্তিরাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে তাদের বিচারের আওতায় এনে মূল উৎপাটন করতে হবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট। হাজী সেলিমের দুর্নীতির মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেয় উচ্চ আদালত।


এ মামলায় হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের বিষয়ে কেবল গণমাধ্যমের সংবাদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে; যা দুর্ভাগ্যজনক।

দুদককে সাংবিধানিক পদসহ সব পর্যায়ে দুর্নীতি নির্মূলে আরো সচেষ্ট হতে বলেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে হাজী সেলিমের যেসব সম্পত্তি নিয়ে জটিলতা চলছে, তার সবই রাষ্ট্রকে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী মনে করেন দণ্ডিত হওয়ায় হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদ থাকবে না।

সংবিধান ও নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ন্যূনতম দুবছর দণ্ডিত হলে সংসদ সদস্য হওয়ার ও থাকার যোগ্যতা হারান যে কেউ। মুক্তিলাভের পাঁচ বছর পার না-হওয়া পর্যন্ত ভোটে অংশ নেয়া যায় না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আনা এই মামলায় বিচারিক আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। পরে হাইকোর্ট সেই সাজা থেকে তাকে খালাস দেন। কিন্তু আপিল বিভাগের নির্দেশে হাইকোর্টে এই মামলাটি ফের শুনানি হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেয়।

হাইকোর্টের কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়।

সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad