যশোরে একদিনে ৩২ হাজার ৩০ টিকা গ্রহণ করেছে। শনিবার এসব মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন। এদিন শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম। প্রথম দিন জিলা স্কুল ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ টিকা দেয়া হয়। এদিন টিকা নিয়েছে দু’হাজার পাঁচশ ১৪ জন। এরমধ্যে জিলা স্কুল কেন্দ্র থেকে এক হাজার দুশ’ ৫৬ ও বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এক হাজার ছয়শ’ ৬০ জন। এদিকে, শহরের ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় দিনে গণটিকা নিয়েছেন দু’হাজার চারশ’ জন।সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, জেলার শতভাগ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনতে ১৫ নভেম্বর প্রথম ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়। যা শেষ হয় ১৯ জানুয়ারি। এ পর্যন্ত দু’ লাখ ৪৯ হাজার চারশ’ ৩৬ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এরমধ্যে স্কুল ও কলেজের দু’ লাখ ১৭ হাজার পাঁচশ’ ৯৬ জন ও ৩১ হাজার আটশ’ ৪০ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হবে।
যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় টিকা কেন্দ্রে শাহাদত হোসেন নামে একজন অভিভাবক বলেন, করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। সন্তানের প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার পর অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ায় দুশ্চিন্তা অনেকটাই কেটে গেছে।
জারিন জামান নামে এক শিক্ষার্থী বলে, সে দু’ ডোজ টিকা নিয়েছে। এখন নিজেকে সুরক্ষিত মনে হচ্ছে। জিলা স্কুল কেন্দ্রে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, দু’ডোজ টিকা গ্রহণ করেছি। সহপাঠীরাও গ্রহণ করেছে।
এদিকে, যশোর ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় দিনে গণটিকা নেন দু’হাজার চারশ’ জন।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার রেহেনেওয়াজ জানান, শনিবার জেলায় মোট ৩২ হাজার ৩০ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৬ হাজার ৮৮ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন পাঁচ হাজার আটজন। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন নয়শ’ ৩৪ জন। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২০ লাখ ১৬ হাজার দুশ’ ৫১ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৭শ’৯৬ জন। আর বুস্টার ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩৩ হাজার পাঁচশ’ ৯৫ জন।
গণটিকা নিতে আসা ঘোপ নওয়াপাড়া এলাকার সাকিবুল হাসান সাকিব জানান, তিনি ঢাকাতে থাকেন। ছুটিতে বাড়ি এসেছেন। বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন ঈদগাহ মাঠে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই টিকা দেয়া হচ্ছে। এ জন্য টিকা নিতে আসেন। এমন সহজ পদ্ধতিতে টিকা দিলে মানুষের মধ্যে আরও আগ্রহ বাড়বে। তিনি এ গণটিকা কার্যক্রম আরও কিছুদিন বাড়ালে তার মতো অনেকে উপকৃত হবেন বলে মন্তব্য করেন।
পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন জানান, যশোরের শতভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্যে পৌরসভা ও স্বাস্থ্যবিভাগের উদ্যোগে দু’দিনে ঈদগাহ মাঠে ১০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দু’দিনে টিকা নেন পাঁচ হাজার দুশ’ ৭৬ জন। এজন্য আরও দু’দিন বাড়ানো হয়। যা আজ রোববার শেষ হচ্ছে। এ পর্যন্ত গণটিকা নিয়েছেন সাত হাজার ছয়শ’ ৭৬ জন।
No comments:
Post a Comment