যশোরে র্যাব-৬ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রানী উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে অবমুক্তির জন্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার ১৮ জানুয়ারি বেলা একটার দিকে যশোর মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ ঝুমা চিড়িয়াখানায় এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় বন্যপ্রানী অবৈধ ভাবে আটক রাখার অপরাধে শামছু সরদার নামে এক ব্যাক্তিকে দুই মাসের জেল এবং পাচ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেছেন।
খুলনা র্যাব-৬-এর কোম্পানী কমান্ডার (পুলিশ সুপার ) আল আসাদ মাহফুজুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের সময় মনিরামপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভুমি) এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণু অধিকারি ও খুলনার বন্যপ্রানী ব্যাস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিদর্শক রাজু আহমম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।
এসপি আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, র্যাবের কাছে গোপন খবর ছিল ঝাঁপা বাওড়ের পাশে ঝুমা চিড়িয়াখানায় অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রানী আটক করে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে র্যাব সেখানে অভিযান চালান।
এসিল্যান্ড বিষ্ণু অধিকারি বলেন, ঝুমা চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন ধরনের পাখি, সজারু,উল্লুক, মেছো ভাঘ, বনবিড়াল, সাপ, বানর, হনুমানসহ বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রানী অবৈধভাবে আটক করে হেফাজতে রেখে তা আবার চিড়িয়াখানায় প্রদর্শন করা হয়েছে।
যা বন্যপ্রানী সংরক্ষণ আইন ২০১২ সালে (৩৭)২ ধারায় অপরাধ। এ কারনে প্রতিষ্ঠানের মালিক না থাকায় মালিকের শ্বশুর (ম্যানেজার) শামছুদ্দিন সরদারকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেছেন।
বন বিভাগের পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ বলেন, র্যাবের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বন্যপ্রানী বন বিভাগের হেফাজতে নিয়া হল।
বিভিন্ন ধরনে পাখি গুলো এখনই আপনাদের(সাংবাদিকদের) সামনে ছেড়ে দিলাম। বাকি প্রানীদের যে যায়গায় যার স্থান তাদের সেখানে অবমুক্ত করা হবে।
No comments:
Post a Comment