সকাল আটটা থেকে জেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাজারো মানুষ শংকরপুরে অবস্থিত বধ্যভূমিতে সমবেত হন এবং শহীদ বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এসময় ফুলে ফুলে ভরে যায় বীর নায়কদের স্মৃতিস্তম্ভ। এর আগে বীর শহীদদের প্রতি গার্ড অব অনার প্রদান করেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসন।
ইতিহাসের মহানায়কদের স্মৃতিতে সর্বপ্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এরপর একে একে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান, জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাহাঙ্গীর আলম, (ক সার্কেল) বেলাল হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর
পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের পক্ষে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার মহিদুর রহমান, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, যশোর জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন যশোর কালেক্টরেট মসজিদের ইমাম ক্বারী রফিকুল ইসলাম।
এদিন বধ্যভূমির সামনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে ইয়ুথ ফর স্মাইল নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এছাড়া দুপুর থেকে যশোরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল চারটায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টাউনহল ময়দানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উদ্যোগে একই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment