যশোরে কিশোর গ্যাঙ ধরতে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে যশোর জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। পৃথক এসব অভিযানে কিশোর গ্যাঙ চক্রের সদস্য সহ নয়জনকে আটক করছে। তাদের প্রত্যেকের কাছথেকে একটি করে মোট নয়টি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম।আটকৃতরা কিশোরদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন কিশোর। তারা বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার একজন, মুড়লি মহাসিন স্কুল এলাকার একজন অপরজন মুড়লি খাপাড়ার বাসিন্দা।
অপর ছয়জন হলেন, যশোর সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে নাঈম হালদার, উপশহর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে বিপ্লব হোসেন, শেখহাটি কালীতলা এলাকার সেলিম শেখের ছেলে মিরাজ হোসেন, বড় ভেকুটিয়া গ্রামের রাজ্জাক হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন অপুও একই গ্রামের শওকত সরদারের ছেলে রাসেল, নওদাগ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন। এ ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন এসআই কামাল হোসেন।
কোতয়ালী মডেল এসআই কামাল হোসেন জানান, তারা জানতে পারেন , খড়কি, জিলা স্কুল ও সার্কিট হাউজ এলাকায় রাস্তার উপরে কিছু উঠতি বয়সের সংঘবদ্ধ যুবক এলাকায় তাদের আধিপত্য বিস্তার এবং আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের কাছে একাধিক অভিযোগ আসে। বিষয়টি খিতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার রাতে তারা ওসব এলাকায় অভিযান চালায়। তারা ঘটনার সত্যতা পান। তাৎক্ষনিক তারা পুলিশের উর্দ্বোতণ মহলকে অবগত করেন। এরপর তাদের সাথে ডিবি পুলিশের টিম যোগ হয়। এরপর ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের সমন্বয়ে টিম রাত আটটার পর ওই এলাকা থেকে একদল কিশোরগ্যাঙ সদস্যদের আটক করা হয়। প্রথমে আনসার ক্যাম্প এলাকার চিহ্নিত কিশোর সন্ত্রাসীর কাছথেকে চাকু উদ্ধার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে তাদের সহযেগি সহ অন্যদের আটক করা হলে তাদের কাছথেকে আরও আটটি চাকু উদ্ধার করা হয়। এসময় অন্তত আরও একদল সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। তবে, পুলিশ তাদের অভিযান অব্যহত রেখেছে বলে যানান।
পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেন, আটককৃতদের বৃহস্পতিবার রাতভর জিজ্ঞাসা করেছে পুলিশ। এছাড়া শুক্রবার সকালথেকে তাদের স্বীকারোক্তিতে যশোরের বিভিন্ন পয়েন্টে আরও কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছে। চালানো হয়েছে বিভিন্ন মোটরসাইকেল তল্লাসি। বিভিন্ন দোকানে দোকানেও তারা এ তল্লাসি চালায় । এছাড়া কসবা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রেজাউল করিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম শুক্রবার সন্ধা থেকে দড়াটানা, বড়বাজার, চিত্রামোড় সহ আরো কয়েকটি এলাকায় কিশোরগ্যাঙ ও চাকু উদ্ধারে অভিয়ান পরিচালনা করেছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, যশোরে কিশোর গ্যাঙ চক্রের সদস্যদের ধরতে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছেন তারা। তারা শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের তল্লাসি টিম বসিয়েছেন। তিনি আরও জানান, যেসব দোকানে চাকু ধারালো অস্ত্র বিকিকিনি চলছে সেসব দোকানে অভিযান চালানো শুরু করেছেন তারা। ডিবি পুলিশ সদস্যরা কোতোয়ালি থানা পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। কিশোর গ্যাঙ ধরতে তাদের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে তিনি জানান।
No comments:
Post a Comment