যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এক্স-রে বিভাগে কর্মরত চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারী মেহেদী ইন্টার্ন চিকিৎসক সোহানুর রহমান সোহান একটি সংঘবদ্ধ চিকিৎসকের হাতে দু’দফা লাঞ্চিতর ঘটনায় তুলকালাম সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় কথিত ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের পক্ষ অবলম্বন করায় কর্মচারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। হাসপাতালে কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ কর্মচারী সংগঠন ঘটনার সুষ্ঠু ও সঠিক বিচারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, দুপুর পৌনে ২ টার সময় ১৩১ নং কক্ষে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী মেহেদী এক্স-রে রোগীদের জন্য সিরিয়াল ও মেন্টেনেন করে এন্ট্রির দায়িত্ব পালন করছিলেন। কথিত ইন্টার্ণ চিকিৎসক সোহানুর রহমান সোহান এক্সরে করার জন্য তার পরিচিত একজনকে নিয়ে ওই কক্ষে আসেন। মেহেদী বহিরাগত বিভিন্ন রোগীদের চাপের কারনে সোহানুর রহমান সোহানকে একটু অপেক্ষা করতে বলেন। এতে সোহানুর রহমান ক্ষেপে উত্তেজিত হয়ে যান। পরে তিনি নিজেকে অত্র হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিচয় দিলে মেহেদী তার কাজ করে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করলে এতেও তাৎক্ষনিক না করায় সোহানুর রহমান সোহানসহ তার সাথে থাকা শাহজাদা জাহান দিহানসহ ৩জন ক্ষেপে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মেহেদীকে মারতে তার উপর চড়াও হলে ওই ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ টেকনিশিয়ান মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায় বিষয়টি জেনে দ্রুত উক্ত ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কাছে ঘটনার জন্য ততক্ষনিক দুই হাত জড়ো করে ক্ষমা চান এবং মেহেদীর আচারনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। উক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাজ করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুুতি গ্রহন করেন। এতেও ইণ্টার্ন চিকিৎসক সোহানুর রহমান সোহান সাথে থাকা থাকা শাহজাদা জাহান দিহানসহ ৩জন ক্ষান্ত না হয়ে সে তার সহযোগী অপর ইন্টার্ন চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম খান শিহাবসহ কয়েকজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী মেহেদীকে মারধর করে বেরিয়ে তারা তত্ত্বাবধায়কের রুমে আসেন।এসময় তারা তত্ত্বাবধায়কের সামনে মিমাংসার কথা বলে মেহেদীকে উক্ত ইন্টার্ণ চিকিৎসকগন সন্ত্রাসী আচারনের এক পর্যায় দ্বিতীয়দফা মারপিট করে। সেখানে অন্যান্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা বিষয়টি ঠেকায়। তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামানের কক্ষে মীমাংসার জন্য কয়েকদফা বৈঠক বসে। বৈঠকে বিএমএ যশোর জেলা সভাপতি কামরুল ইসলাম বেনু, সাধারণ সম্পাদক এমএ বাশার,হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান,আরএমওসহ অন্যান্য চিকিৎসক উপস্থিত থেকে ঘটনার সঠিক তদন্তর প্রয়োজনীতার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী শনিবার ঘটনার ব্যাপারে কি হয়েছে সে ব্যাপারে একটি রিপোর্ট পেশ করবেন। তত্ত্বাবধায়ক কক্ষে ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খান শিহাব সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন,শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবি পিয়াস উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালের সূত্রগুলো জানিয়েছেন, ইন্টার্ণ চিকিৎসক কর্তৃক সামান্য বিষয় নিয়ে কর্মরত কর্মচারীদের গায়ে হাত তুলায় কর্মরত কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
No comments:
Post a Comment